বিশ্ব ডেস্ক, ঢাকা: প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম জলপথ মিশরের সুয়েজ খাল অচল করে দেওয়া কন্টেইনারবাহী বিশাল আকৃতির জাহাজ ‘এভার গিভেন’ অবশেষে সচল হয়েছে। সুয়েজ খাল দিয়ে জাহাজ চলাচল ফের শুরু করেছে। ৬ দিনে খালটির দু’ মাথা ও গতিপথে সাড়ে ৪শতাধিক পণ্যবাহী ও কন্টেইনারবাহীবাহী আটকা পড়েছিল। ২০ হাজার ১০০ কন্টেইনারবাহী জাহাজটি গত মঙ্গলবার সুয়েজ খালে ঢোকার পর বিরুপ আবহাওয়ায় সংকীর্ণ খালে আড়াআড়ি আটক পড়েছিল। খবর- আল-আহরাম।
মিসরের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আল-আহরাম জানিয়েছে, ‘ভেসেলফাইন্ডার’ নামের জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষক সাইটে সোমবার(২৯মার্চ) সকালে দেখা যায়- গত মঙ্গলবার থেকে সুয়েজ খাল বন্ধ করে আটকে থাকা ‘এভার গিভেন’ জাহাজটি সফলভাবে পানিতে ফের ভাসানো হয়েছে। মেরিটাইম সার্ভিস প্রোভাইডার ‘ইঞ্চকেইপ’ ঘোষণা দিয়েছে, শেষ পর্যন্ত ‘এভার গিভেন’ জাহাজটি ভাসানো হয়েছে এবং এটি ‘এই মুহূর্তে ঝুঁকিমুক্ত হয়েছে’।
তবে সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষ এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি।
ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরকে যুক্ত করা ১৯৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ খালটি দিয়ে বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় ১২ শতাংশ পণ্য পারাপার হয়। এ খালটির কারণেই এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে সংক্ষিপ্ততম জলপথ উন্মুক্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, জানা গেছে, ৪০০ মিটার লম্বা ও ৫৯ মিটার প্রশস্ত এভার গিভেন ২ লাখ ২০ হাজার টন কার্গো ধারণ করতে পারে। চীন থেকে পণ্যবাহী কনটেইনার নিয়ে পানামায় নিবন্ধিত তাইওয়ানের জাহাজটি নেদারল্যান্ডসে যাচ্ছিল।সুয়েজ আটকে যাওয়ায় বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে বিশ্ব। প্রতিদিন প্রায় ৬০০ থেকে এক হাজার কোটি ডলার ক্ষতি হচ্ছে। মিশরের প্রতিদিন ক্ষতি হচ্ছে এক কোটি ২০ লাখ থেকে এক কোটি ৪০ লাখ ডলার। খাল আটকে যাওয়ায় বিভিন্ন দেশে পণ্য পৌঁছতে দেরি হবে।
সুয়েজ খাল দিয়ে চলাচলকারী প্রতিটি জাহাজকে খাল কর্তৃপক্ষকে একটি নির্দিষ্ট অংকের চার্জ দিতে হয়। যেটি শিপারদের কাছ থেকে শিপিং কোম্পানীগুলো আদায় করে থাকে(প্রতিটি কন্টেইনারের বিপরীতে)। যা সুয়েজ ক্যানেল চার্জ নামে পরিচিত।
পড়ুন আগের নিউজ: সুয়েজ খালে মাদার ভ্যাসেল আটকা, তীব্র জাহাজ জট
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ