29 C
আবহাওয়া
১:১৬ পূর্বাহ্ণ - মে ১৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট’ ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৪ জনের মৃত্যু

কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট’ ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৪ জনের মৃত্যু


বিএনএ, ঢাকা মেডিকেল প্রতিবেদক  : রাজধানীর বেইলি রোডে ‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট’ ভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বৃহস্পতিবার(২৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে গণমাধ্যমে এ তথ্য জানান তিনি। ৭তলা ভবনটি থেকে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বেইলি রোডের রেস্টুরেন্ট ভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়াদের মধ্যে নারী , শিশু ও পুরুষ রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে আরও ২২ জন ভর্তি আছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। উদ্ধার কাজে সহায়তার জন্য় যোগ দিয়েছে বিজিবিও। প্রতিটি ভবনে বড় বড় গ্যাস সিলিন্ডিার থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে দাবি করেছে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান তারা। ১৩টি ইউনিটের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও এনএসআই।

মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি

মন্ত্রীর বক্তব্যের পর পুলিশ হাসপাতালেও ১জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে রাত পৌনে তিনটা পর্যন্ত মোট ৪৪জনের মৃত্যু ঘটেছে।

আগুনের সূত্রপাত

‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট’ ভবনের নিচতলায় থাকা ছোট একটি রেস্টুরেন্ট হতে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ভবনটিতে অবস্থিত ফুওকো রেস্টুরেন্টের মালিক ডা. নাইম জানান। একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিও একই তথ্য প্রকাশ করেন। তবে ফায়ার সার্ভিস আগুন লাগার কারণ তদন্ত সাপেক্ষ বলে প্রাথমিকভাবে জানায়। 

ভবনে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাত তলা ভবনটির উপরের তলাগুলোতেও পোশাকের দোকান এবং পিজ্জা ইন, স্ট্রিট ওভেন, খানাসসহ আরও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এছাড়া ইলিয়েন, ক্লোজেস্ট ক্লাউডসহ জনপ্রিয় বিপণিবিতানও রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ক্রেনের সাহায্যে সপ্তম তলা থেকে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৭৫ জনকে নামিয়ে এনেছেন। আরও বেশ কয়েকজন এখনও আটকা আছেন। তাদের নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। তাদের অনেকে জ্ঞান হারান।

ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

ডা. সামন্ত লাল সেন আরও  বলেন, আমি সংবাদ পেয়ে দ্রুত চলে এসেছি হাসপাতালে। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দ্রুত আসতে বলেছেন। এখানে এসে ভয়াবহ অবস্থা দেখলাম। বার্ন ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন। অপর দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৩ জন মারা গেছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, যারা এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন, তাদের বেশির ভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এই ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা বেঁচে আছেন তাদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। বাইরে কেউ আছে কি না সেই তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, ঢামেক হাসপাতালে ১৪ জন ও বার্ন ইনস্টিটিউটে ৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাইকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শুরুতে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। এর আগেরাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোলরুমের ডিউটি অফিসার।

ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন ঘটনাটি ফেইসবুকে লাইভ সম্প্রচার করেছেন। লাইভে দেখা যায়, ভবন থেকে আগুন দাউ দাউ করে বের হচ্ছে। আর বাইরে প্রচুর মানুষের ভিড়, নিরাপত্তায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা ক্রমাগত বাঁশি বাজাচ্ছেন।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম/এইচমুন্নী, এ এইচ, এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ