বিশ্ব ডেস্ক: রাখাইন রাজ্যের(আরাকানের) রামরি শহরে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে মিয়ানমার জান্তা বাহিনী। শহরটির বেশিরভাগ বাড়ি ও স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে। খবর মিয়ানমার নাও।
রামরি শহর থেকে ইতোমধ্যে ১০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে অন্যত্র পালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি আরাকান আর্মি (এএ) এবং মায়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ রাখাইন রাজ্যের শহর রামরি তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ ছিল। তারপর থেকে সম্প্রতি রামরির কিয়াউকফিউ জেলায় আরাকান আর্মির সাথে যুদ্ধ তীব্র হওয়ায় জান্তা নির্বিচারে বিমান হামলা এবং ভারী কামানের গুলি চালাচ্ছে। সেখান থেকে ইতোমধ্যে ভীতসন্ত্রস্থ ১০ হাজারের বেশি বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়ে অন্যত্র পালিয়েছে।
আরাকান আর্মি(AA) উত্তর রাখাইন রাজ্যের সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে পাঁচটি শহর কিউকতাও, মিনবিয়া, ম্রাউক-উ, মায়েবন এবং পাউকতাও নিয়ন্ত্রণ দখল করে নেয়। সেইসাথে প্রতিবেশী দক্ষিণ চিন রাজ্যের পালেতওয়াও।
জান্তা রাখাইন রাজ্যর কিয়াউকফিউ জেলা থেকে চীনে অফশোর তেল ও গ্যাস রপ্তানির পাইপলাইন প্রকল্প রক্ষায় এখন মরিয়া হয়ে পড়েছে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী। তারা প্রকল্পটি হাতছাড়া না করতে পুরো রামরি শহরে বিমান থেকে ব্যাপক বোমা নিক্ষেপ করছে। আরাকান আর্মির সাথে স্থল যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে। প্রতিদিন বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।
থ্রি ব্রাদারহুড কোয়ালিশন বা থ্রি বিএইচএ, এএ সহ সশস্ত্র গোষ্ঠী রাখাইন রাজ্য, চিন রাজ্যসহ একাধিক রাজ্যের অনেক শহর ও সরকারি সামরিক বাহিনীর ঘাটি ইতোমধ্যে দখল করে নিয়েছে।
জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির সমন্বয়ে গঠিত থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স এ রয়েছে আরাকান আর্মি, মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (MNDAA), এবং Ta’ang National Liberation Army (TNLA) এবং সরকার বিরোধী জোট ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্ণমেন্ট এর সশস্ত্র সদস্যরা।
এসজিএন/হাসনা