24 C
আবহাওয়া
৩:৫০ পূর্বাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ‘সদ্যোজাত ভিনগ্রহেই ছিল বায়ুমণ্ডল’

‘সদ্যোজাত ভিনগ্রহেই ছিল বায়ুমণ্ডল’


বিএনএ ডেস্ক : কয়েকশ’ কোটি বছর আগে জমাট বাঁধা গ্যাসের ‘ভ্রƒণ’ থেকে জš§ নেয়ার পর ভিনগ্রহদের বেশিরভাগেরই উপরে ছিল পুরু বায়ুমণ্ডল। আর সেই বায়ুমণ্ডলের নিচে ভিনগ্রহগুলোর অন্তরে-অন্দরে বয়ে যেত তরল জলস্রোত। জলের অভাব ছিল না তখন সদ্যোজাত ভিনগ্রহগুলোতে। পৃথিবীর কক্ষপথের কাছাকাছি থাকা যে উল্কাপিণ্ডগুলো আমাদের গ্রহের জোরালো অভিকর্ষ বলের টানে ভ‚পৃষ্ঠে আছড়ে পড়েছিল, তাদের বিভিন্ন অংশের রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি এই ধারণায় পৌঁছেছেন গবেষকরা।

গত ১৫ জানুয়ারি আমেরিকান অ্যাস্ট্রানমিক্যাল সোসাইটির ভার্চুয়াল বৈঠকে তাদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করতে গিয়ে এ কথা জানিয়েছেন সান্তা ক্রুজের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী ম্যাগি থমসন।

তিনি জানিয়েছেন, ‘জšে§র পর পরই ভিনগ্রহগুলোর বেশিরভাগেরই যে পুরু বায়ুমণ্ডল ছিল, তাতে হয়তো পর্যাপ্ত পরিমাণে ছিল কার্বন মনোক্সাইড ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো গ্যাস। যা আমাদের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলেও রয়েছে। তবে সদ্যোজাত ভিনগ্রহগুলোর বায়ুমণ্ডলে হাইড্রোজেন ও হাইড্রোজেন সালফাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাসগুলো পরিমাণে বোধহয় কমই ছিল।’

গত শতাব্দীর নয়ের দশক থেকে এখনো পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ভিনগ্রহের আবিষ্কার রয়েছে। এদের অনেকেরই এখনো পাতলা বায়ুমণ্ডল থাকতে পারে। আর সেই উত্তরোত্তর পাতলা হয়ে আসা বায়ুমণ্ডলের নিচে থাকতেই পারে আমাদের বাসযোগ্য গ্রহের মতো পাথুরে পিঠ (‘সারফেস’)।

গবেষকরা মনে করছেন, ‘আগামী দিনে যে স্পেস টেলিস্কোপগুলোকে (যেমনÑজেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ) মহাকাশে পাঠানো হবে, সেগুলো সংশ্লিষ্ট নক্ষত্রগুলো থেকে ঠিকরে বেরিয়ে আসা আলো বিশ্লেষণ করে আরো নিশ্চিত হতে পারবে ওইসব তারামণ্ডলের গ্রহগুলোর বায়ুমণ্ডল এখনো কী পরিমাণে রয়েছে, থাকলে সেই বায়ুমণ্ডলে কোনো কোনো পদার্থ রয়েছে, সেই বায়ুমণ্ডলের নিচে গ্রহগুলোর পিঠ পাথুরে কি না আর সেই পাথুরে পিঠ কোন কোন পদার্থ দিয়ে গড়ে উঠেছে।

গবেষকরা জানান, ‘তারা বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীতে আছড়ে পড়া তিনটি উল্কাপিণ্ডের ৩ মিলিগ্রাম ওজন পরিমাণের অংশ নিয়ে আলাদা আলাদাভাবে সেই অংশগুলোর রাসায়নিক পরীক্ষা করেছেন। যেহেতু কোনো তারামণ্ডলের জšে§র সময় জমাট বাঁধা গ্যাস থেকে কঠিন পদার্থ তৈরি হতে শুরু করলেই উল্কাপিণ্ডগুলোর জš§ হয়েছিল, তাই তাদের বিভিন্ন অংশের রাসায়নিক বিশ্লেষণ করলেই সদ্যোজাত অবস্থায় তারা কী কী পদার্থ দিয়ে গড়া ছিল তা বোঝা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন থমসন ও তার সতীর্থরা।

তারা দেখেছেন, ওই উল্কাপিণ্ডগুলোর ৩ মিলিগ্রাম ওজন পরিমাণের অংশগুলো পোড়ানোর পর যে গ্যাস বেরিয়ে এসেছে তার ৬২ শতাংশই জলীয় বাষ্প। এতেই প্রমাণ, জন্মের সময় ওই ভিনগ্রহগুলোতে জল ছিল। আর সেটা হয়তো ছিল তরল অবস্থাতেই। পরে সূর্যের বিকিরণ ও গ্রহগুলোর অভিকর্ষ বল ততটা জোরালো না হওয়ায় ভিনগ্রহগুলোর সেই বায়ুমণ্ডল ধীরে ধীরে পাতলা হয়ে আসে (যেমনটা হয়েছে মঙ্গলে)। জলও বাষ্পীভ‚ত হয়ে যায়।

Loading


শিরোনাম বিএনএ