বিএনএ,(মিরসরাই) চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের মিরসরাই থানা পুলিশের সোর্স পরিচয় দানকারী সন্ত্রাসী ইকবালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৭ নভেম্বর) গভীর রাতে এক সাড়াশী অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ইকবাল (২৫) মিরসরাই সদর ইউনিয়ন ৫ নং আবুনগর এলাকার মৃত নুর আলমের ছেলে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) এক যুবককে অতর্কিত হামলা করে সোর্স ইকবাল ও তার অন্য দুই সহযোগী ডজন মামলার আসামি বাহার ও নোমান।বাহার একই এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। বাহারের বিরুদ্ধে দুটি ডাকাতি মামলাসহ এক ডজন মামলা রয়েছে।
সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহতের নাম আবু ইয়াছিন (৪২)। তিনি মিরসরাই সদর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আবু নগর এলাকার বাসিন্দা। আহত আবু ইয়াছিনের ভাই বাদি হয়ে গতকাল শনিবার (২৭ নভেম্বর) মিরসরাই থানায় একটি মামলা করেছে। এছাড়া এ সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্বসস্ত্র ডাকাতি, চাদাবাজি, ছিনতাই, লুটপাট, নারী নির্যাতন, ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়সহ ডজনের ওপরে মামলা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ইকবাল থানা পুলিশের সোর্স হওয়ায় থানা পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করার জন্য সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। ডাকাতি, ধর্ষণ, নারী নির্যাতনসহ একাধিক মামলার আসামি ইকবাল। এছাড়া পুলিশের সোর্স হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস করে না। ফলে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সে। সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় এবং চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মারধর ও অত্যাচার করে আসছিল। এ ব্যাপারে কেউ কথা বললে ইয়াবা দিয়ে কোর্টে চালান করে দেয়ার হুমকি দিত।
মিঠাছড়া বাজার কমিটির সভাপতি চেয়ারম্যান এমরান হোসেন জানান, ইকবাল, বাহার ও নোমান আন্ত: জেলা ডাকাত ও ইয়াবা চক্রের সক্রিয় সদস্য। মহাসড়কে ডাকতিসহ সন্ত্রাসী কাজে নিয়োজিত তারা। ইকবালকে গ্রেপ্তারে মিঠাছড়া বাজার ব্যবসায়িদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
মিরসরাই থানা উপ-পরিদর্শক রাজিব জানান, রাতে অভিযান চালিয়ে ইকবালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কোন অস্ত্র উদ্ধার সম্ভব হয়নি। ইকবালের দুই সহযোগীর বাড়িতেও অভিযান চালানো হয় তবে তাদের পাওয়া যায় নি।
বিএনএ/ আশরাফ, এমএফ