19.5 C
আবহাওয়া
৬:৫৬ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৭৭ (লক্ষ্মীপুর-৪)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৭৭ (লক্ষ্মীপুর-৪)


বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে লক্ষ্মীপুর–৪ আসনের হালচাল।

লক্ষ্মীপুর-৪ আসন

লক্ষ্মীপুর–৪ সংসদীয় আসনটি রামগতি ও কমল নগর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ২৭৭ তম আসন।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির আব্দুর রব চৌধুরী বিজয়ী হন

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৯ শত ২৪ জন। ভোট প্রদান করেন ৭৮ হাজার ২ শত ১৬ জন। নির্বাচনে বিএনপির আব্দুর রব চৌধুরী বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ২৫ হাজার ৮ শত ৮৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাসদের আ.স.ম আব্দুর রব। মশাল প্রতীকে তিনি পান ২৫ হাজার ৬ শত ৩১ ভোট ।

ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন: বিএনপির আব্দুর রব চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি,ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এই নির্বাচনে বিএনপির আব্দুর রব চৌধুরী কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জে.এস.ডির আ.স.ম আব্দুর রব বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩ শত ৯ জন। ভোট প্রদান করেন ৯৫ হাজার ৭ শত ৫০ জন। নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জে.এস.ডির আ.স.ম আব্দুর রব বিজয়ী হন। তারা প্রতীকে তিনি পান ৩৭ হাজার ২ শত ৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির আব্দুর রব চৌধুরী । ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৩৫ হাজার ৩১ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির এ বি এম আশরাফ উদ্দীন বিজয়ী হন

২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৩৯ হাজার ৭ শত ১ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৯ শত ৮৩ জন। নির্বাচনে বিএনপির এ বি এম আশরাফ উদ্দীন বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৪৫ হাজার ৯ শত ৭৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাসদের আ.স.ম আব্দুর রব । মশাল প্রতীকে তিনি পান ৪৩ হাজার ৪ শত ৫৩ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির এ বি এম আশরাফ উদ্দীন বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৩০ হাজার ৮ শত ৭৮ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯ শত ৬৩ জন। নির্বাচনে বিএনপির আশরাফ উদ্দীন নিজাম বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৬৮ হাজার ৫ শত ৪৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের আব্দুর রব চৌধুরী । নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৫৮ হাজার ৪ শত ২৭ ভোট।

দশম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মো. আবদুল্লাহ বিজয়ী হন

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মোঃ আবদুল্লাহ বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৫ হাজার ৫ শত ৮১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আজাদ উদ্দীন চৌধুরী । হরিণ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ৭ হাজার ৮ শত ২৮ ভোট।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে র্নিবাচনের দাবিতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: বিকল্প ধারার আবদুল মান্নান বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ১০ হাজার ৮ শত ৪২ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৩১ হাজার ৭ শত ২৬ জন।

নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। নৌকা প্রতীকে বিকল্প ধারার আবদুল মান্নান, ধানের শীষ প্রতীকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জে.এস.ডির আ.স.ম আব্দুর রব, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শরিফুল ইসলাম, তারা প্রতীকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জে.এস.ডির তানিয়া রব, মই প্রতীকে সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের মিলন কৃষ্ণ মন্ডল এবং কাঠাল প্রতীকে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির আবদুর রাজ্জাক চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে বিকল্প ধারার আবদুল মান্নান বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৮৩ হাজার ৯ শত ৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জে.এস.ডির আ.স.ম আব্দুর রব । ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৪০ হাজার ৯ শত ৭৩ ভোট।

কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পঞ্চম, ষষ্ঠ, অষ্টম ও নবম সংসদে বিএনপি, সপ্তম সংসদে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জে.এস.ডি, দশম সংসদে আওয়ামী লীগ এবং একাদশ সংসদে বিকল্প ধারার প্রার্থী বিজয়ী হয়।

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশিরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর লক্ষ্মীপুর–৪ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ,বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর-৪ সংসদীয় আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৪০.৫৪% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৪.১৫%, বিএনপি ৩৩.০৯%, জামায়াত ইসলামী ১৬.৪৯% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৩৬.২৭% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬১.৬৫% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৪.০৬%, বিএনপি ৩৬.৫৯%, জামায়াত ইসলামী ৮.৯৬% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৪০.৩৯% ভোট পায়।

২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৫৩.৮১% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৯.৮২%, ৪ দলীয় জোট ৩৫.৬৫%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৩৪.৫৩% ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮৫.৭৪% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ২৯.৫১%, ৪ দলীয় জোট ৩৪.৬৩%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৩৫.৮৬% ভোট পায়।

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) : আসনের সংসদ সদস্য বিকল্প ধারার মহাসচিব ও বর্তমান সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর আবদুল মান্নান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট থেকে তিনি আবারও মনোনয়ন চাইবেন। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য ফরিদুন্নাহার লাইলী, লক্ষীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন, রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ।

বিএনপি এখনো পর্যন্ত বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্বান্তে অটল রয়েছে। কিন্তু নির্বাচনকে সামনে নিয়ে মাঠে নেমেছেসাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় সহ-বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন নিজাম ও তারণ্যের প্রতীকে স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন।

বিএনপি নির্বাচনে গেলে আশরাফ উদ্দিন নিজান অথবা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল –জেএসডির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডেন্ট ও সাবেক মন্ত্রী আ স ম আবদুর রব এর মধ্যে প্রতিযোগীতা হবে। আ.স.ম রব এবার একটি নতুন জোট থেকে নির্বাচন করতে পারেন এমন গুঞ্জনও রয়েছে।

জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইবেন রামগতি ও কমলনগর উপজেলা জাতীয় পার্টির সমন্বয়কারী এ কে এম আজাদুর রহমান ও কমলনগর উপজেলা সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমদ। এছাড়া ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ ও জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ হ ম নোমান সিরাজী দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।

তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, লক্ষীপুর-৪ (কমলনগর এবং রামগতি ) আসনটি বিএনপির ঘাটি হিসাবে পরিচিত। ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের আগে এই আসনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়নি। ১৯৯১ সালের পঞ্চম ১৯৯৬ সালের ষষ্ট সংসদে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সিএসপি আব্দুর বর চৌধুরী। ১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আব্দুর বর চৌধুরীকে মনোনয়ন দিলেও তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ.স.ম আব্দুর রব এর কাছে পরাজিত হন।

২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনয়ন দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশরাফ উদ্দিন নিজামকে। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে আব্দুর রব চৌধুরী আওয়ামী লীগের টিকেটে নির্বাচনে অংশ নেন এবং শোচনীয়ভাবে আশরাফ উদ্দিন নিজানের কাছে পরাজিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আশরাফ উদ্দিন নিজামের কাছে দুই রবই হেরে যান।

২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনের অংশ নেয়নি। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। তখন থেকে বিএনপির দুইবারের সংসদ সদস্য আশরাফ উদ্দিন নিজাম স্থানীয় রাজনীতি থেকে দুরে চলে যান। তখন সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু নানাভাবে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলোকে চাঙ্গা রাখেন।

২০২০ সালের ২৮ জুলাই সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর মৃত্যুর পর মূলত এই আসনটিতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন সমূহের সাংগঠনিক কার্যক্রমে এক ধরনের স্থবিরতা দেখা দেয়। শফিউল বারী বাবুর শুণ্যস্থান পুরণ করতে এগিয়ে আসেন তারই অনুসারি স্কুল জীবন থেকে ছাত্রদলের রাজনীতি করা বর্তমান সেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন। রাজপথের আন্দোলন করতে গিয়ে মামলা হামলার শিকার হন এবং কারাবরণ করেন ফরহাদ উদ্দিন।

প্রসঙ্গত,২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাননি অআশরাফ উদ্দিন নিজাম। মনোনয়ন পান জাতীয় ঐক্যফন্ট্রের শরিক আলোচিত-সমালোচিত জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল আ.স.ম আব্দুর রব। তিনি প্রতীক নেন ধানের শীষ। অন্যদিকে তার স্ত্রী তানিয়া রব জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল থেকে তারা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন। একই আসনে একদলের দুই প্রার্থী! স্বামী বিএনপির ধানের শীষ, স্ত্রী দলীয় প্রতীক তারা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিশ্বরাজনীতিতে একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে আ.স.ম আব্দুর রব ও তার স্ত্রী তানিয়া বর ।

আওয়ামী লীগ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে দলীয় প্রার্থী দেননি। আসনটি বিকল্পধারা মহাসচিব এক সময়কার বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নানকে ছেড়ে দেন। তিনিই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এই আসনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা তেমন শক্ত নয়। সেই তুলনায় বিএনপির অবস্থান শক্ত। তাছাড়া বিএনপির শরিক জামায়াত ইসলামীর ভোট ব্যাংক রয়েছে। যা বিএনপির প্রার্থীকে অগ্রগামী করবে। এই আসনের আরেকটি বৈশিষ্ট হচ্ছে আঞ্চলিকতা। যা ভোটের হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিতে পারে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ২৭৭ তম সংসদীয় আসন (লক্ষ্মীপুর-৪) আসনটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিএনএ/ শাম্মী, রেহানা, এমএফ, ওয়াইএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ