বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় আসতে শুরু করেছে মানুষ। শনিবার (২৮ অক্টোবর) টানেল দিয়ে আনোয়ারা পৌঁছে ১২টায় সমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার সকাল ৭টা থেকে নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলে ঢুকতে শুরু করেছেন। এর আগে ভোরেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের জেলা থেকে বাস-ট্রাক-পিকআপসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা যাত্রা শুরু করেন। কেউ কেউ আগেভাগে এসেই আনোয়ারা-কর্ণফুলী উপজেলায় অবস্থান নিয়ে সকালে জনসভায় প্রবেশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে পুরো কর্ণফুলী ও আনোয়ারায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের ক্রসিং অংশ ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে মিছিলে-স্লোগানে উজ্জীবিত নেতাকর্মীদের স্রোত জনসভাস্থলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। লাল-সবুজের টি-শার্ট ও মাথায় ক্যাপ পরে হেঁটে এবং পিকআপ ভ্যান, ট্রাক ও বাসযোগে বিভিন্ন সড়ক ধরে আসছেন নেতাকর্মীরা।
মিছিলে বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ এবং শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত আছেন।
বিশাল সমাবেশে প্রায় ১০ লাখ মানুষ যোগ দেবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।
দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা মো.রিয়াদ বলেন, বীর চট্টলার জনতা প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উদ্বেলিত, উৎফুল্ল। নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল আমাদের জন্য স্বপ্ন ছিল। সেটি বাস্তবে রূপ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে এক গণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছে। আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ফেনী থেকে চট্টগ্রাম হয়ে মহেশখালী, টেকনাফ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এক অর্থনৈতিক বলয় গড়ে তুলছেন। আজকে তিনি অর্থনৈতিক বলয়ের আরেক স্বর্ণদুয়ার উন্মোচন করবেন। বীর চট্টলার জনতা প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উদ্বেলিত, উৎফুল্ল।
বিএনএ/এমএফ