26 C
আবহাওয়া
৯:৫৫ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ১৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » টানা বৃষ্টিতে চাঁদপুর-নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে বন্যার অবনতি

টানা বৃষ্টিতে চাঁদপুর-নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে বন্যার অবনতি

bonna

বিএনএ ডেস্ক: নোয়াখালী, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে টানা বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এদিকে ফেনীতে বন্যার পানি সরে যাওয়ায় স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতি। এ ছাড়া বিভিন্ন দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকট।

গতকাল রাত থেকে আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত টানা বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে নোয়াখালীতে। জেলার আট উপজেলায় এখনও ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি। স্বেচ্ছাসেবীরা বলছেন, নৌযান সংকটে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম। জেলায় এ পর্যন্ত পানিতে ডুবে এবং বিদ্যুর্স্পশে আট জনের মৃত্যু হয়েছে।

চাঁদপুরেও রাতভর বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। শাহরাস্তি ও হাজীগঞ্জে বন্যার অবনিত হয়েছে। তবে ফরিদগঞ্জে পানি কমায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জেলার তিন উপজেলায় পানিবন্দি দেড় লাখ মানুষ।

এদিকে রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পাঁচটি উপজেলায় বন্যাদুর্গত আট লাখ মানুষ।

কুমিল্লায় ঘরবাড়ি ছেড়ে অনেকেই উঠেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। পানির নিচে তলিয়ে আছে ৬০ হাজার হেক্টর ফসলি জমি। তবে ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কিছু এলাকায় এখনও জলাবদ্ধতা রয়েছে। এ ছাড়া মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, কমলগঞ্জ বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে হাওরাঞ্চলে।

চলমান এ বন্যায় চট্টগ্রাম কৃষি অঞ্চলের পাঁচ জেলা-চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরে প্রায় ১ লাখ ৪৬ হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে আমন বীজতলা সাড়ে ১০ হাজার হেক্টর এবং আবাদ করা আমনের খেতের ক্ষতি ১ লাখ ২ হাজার হেক্টর। এ ছাড়া ২২ হাজার হেক্টর আউশ, সাত হাজার হেক্টর সবজি ও প্রায় তিন হাজার হেক্টর ফলের বাগানের ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হয়েছে আদা, হলুদ, পান, আখসহ অন্যান্য ফসলও।

কৃষকেরা বলছেন, সদ্য রোপণ করা আমনসহ কৃষির সার্বিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে।

তবে চট্টগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুছ ছোবহান বলেন, পানি কয়েক দিনের মধ্যে কমে গেলে গুমাই বিলে বেশি ক্ষতি হবে না।

এদিকে বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকায় এক সপ্তাহেও ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন দুর্গতরা। এ অভিযোগ গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে আটকে পড়াদেরই বেশি। স্বেচ্ছাসেবীরা বলছেন, নৌযানের অভাবসহ নানা কারণে দুর্গম এলাকায় আটকে পড়াদের কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে না।

তবে ভিন্ন চিত্র মৌলভীবাজারে। প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণ পাঠাতে তালিকা করেছে প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবীরা। বন্যাদুর্গত এলাকায় সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণে সেনা ও নৌবাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন দুর্গম এলাকার বাসিন্দারা।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ