বিএনএ ডেস্ক: গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ পেয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. হায়দার আলী বিশ্বাস।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ড. হায়দার আলী বিশ্বাসের গলায় মেডেল পরিয়ে দেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
কাজের স্বীকৃতি পেয়ে নিজের প্রতিক্রিয়ায় ড. হায়দার আলী বিশ্বাস বলেন, কর্মের স্বীকৃতি অনুপ্রেরণা যোগায়। নতুন নতুন উদ্ভাবনে গবেষকদের মনোযোগ বাড়ায়। গবেষকদের কাজের স্বীকৃতি জাতীয়ভাবে দেয়া দরকার। নতুন নতুন উদ্ভাবনে এমন স্বীকৃতি বড় ভূমিকা রাখবে যা দেশের জন্যই কল্যাণকর হবে। এতে দেশের নবীন গবেষকরাও আকৃষ্ট হবে। বলেন, সমৃদ্ধ ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে গবেষণার বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে খুবি উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, মানুষ কাজ করে নেশায়, স্বীকৃতির জন্য নয়। তবে উৎসাহ বৃদ্ধিতে কাজের স্বীকৃতি প্রয়োজন। স্বীকৃতি মানুষকে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে, উদ্যম বাড়িয়ে দেয়। এই অ্যাওয়ার্ড দেখে অন্যরাও গবেষণায় বেশি উৎসাহিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) খান গোলাম কুদ্দুস। সভাপতিত্ব করেন গবেষণা সেলের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, প্রাধ্যক্ষ ও পরিচালকরা।
গবেষণায় অবদানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০ সালে ৪ জন ও ২০২১ সালে ৩ জনকে এই সম্মাননা প্রদান করে। গণিত ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক হায়দার আলী বিশ্বাস ছাড়াও ২০২০ সালের জন্য অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান, বাংলা ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক মো. রুবেল আনছার ও অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রভাষক সৈয়দ আফরোজ কেরামত।
এছাড়া ২০২১ সালের জন্য অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক আবদুল্লাহ-আল নাহিদ, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনের প্রভাষক মো. আশফিকুর রহমান।
২০১৯ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ অ্যাওয়ার্ড চালু করে। অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষকদের একটি পদক ও সনদপত্র এবং ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়।
বিএনএ/ এ আর
