বিএনএ, ঢাকা : রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া হুইপপুত্র শারুন চৌধুরীর সঙ্গে মুনিয়ার কিছু কথোপকথনের স্ক্রিনশটের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
পুলিশ কী জানতে চেয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে শারুন চৌধুরী বলেন, তার কাছে মুনিয়ার সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। তিনি জানান, মুনিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। গত বছর মুনিয়া ফেসবুকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অভিযুক্ত শিল্পপতি সঙ্গে তার সাবেক স্ত্রীর সম্পর্ক হয়েছে।
মুনিয়ার মৃত্যুর পর ফেসবুকে তার সঙ্গে কথোপকথনের যে স্ক্রিনশট ছড়ানো হচ্ছে, সেগুলো মিথ্যা বলে দাবি করেন শারুন। সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ে এই কথোপকথনগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
স্ক্রীণশটে যা প্রকাশ পাচ্ছে :
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া স্ক্রীণশটে দেখা যাচ্ছে মুনিয়া শারুনকে লেখেন, তিনি ভালো নেই। এরপর লেখেন, ‘উনি তো আমাকে বিয়ে করবে না। কী করব আমি?’ জবাবে শারুন লেখেন, ‘আগেই বলেছিলাম, ওর কথা শুইনো না। ও আমার বউকে বলছে বিয়ে করবে, কিন্তু করে নাই। মাঝখানে আমার মেয়েটা মা ছাড়া হয়ে গেছে।’
স্ক্রীণশটটির সত্য মিথ্যা যাচাই করা বিএনএ এর পক্ষ থেকে করা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাত ১১টায় গুলশান-১ এর ১২০ নম্বর রোডের ১৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাট (বি/৩) থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় লাশ বেডরুমের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা সদর উপজেলার মনোহরপুর। সোমবার সকালে বড়বোন নুসরাত জাহানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে মুনিয়ার শেষ কথা হয়।মুনিয়ার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সফিকুর রহমান। মাও বেঁচে নেই। এ ঘটনায় বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেছেন মুনিয়ার বড়বোন নুসরাত জাহান।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।