30 C
আবহাওয়া
৪:৫৪ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সুলতানার মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে: র‌্যাব

সুলতানার মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে: র‌্যাব


বিএনএ, ঢাকা: নওগাঁয় আটকের পর র‌্যাব হেফাজতে মারা যাওয়া সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যুর অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে বিবাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, ওই নারীর মাথায় আঘাতের কোনো চিহ্ন থাকার বিষয়টি জানে না র‌্যাব। তদন্তে কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

র‌্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যু ও র‌্যাব সদস্যদের কারও দায়িত্বে অবহেলা ছিল কিনা জানতে চাইলে কমান্ডার মঈন বলেন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে কর্মরত যুগ্ম সচিব এনামুল হকের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে, ফেক আইডি ব্যবহারে তার নামে চাকরি দেয়া ও বিভিন্ন কাজ পাইয়ে দেয়ার নাম করে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রতারণা করে আসছিল। তিনি ২০২২ সালের মার্চে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। সেখানে তিনি এব্যাপারে অভিযোগ করেন।

একজন নারী তার নামে ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে প্রতারণা করছে এমন অভিযোগে আদালতে মামলাও করেন। গত গত ১৯ ও ২০ মার্চ নিজ কার্যালয়ের সামনেই তার নাম ব্যবহার করে প্রতারক চক্র অর্থ প্রতারণা করে। এই খবর পেয়ে খোঁজ নেন যে প্রতারণায় আল আমিন নামে একজনের যোগসাজশ রয়েছে। এরপর তিনি খবর পান জেসমিন নামে এক নারীর নাম। তিনি অফিস যাওয়ার পথে র‌্যাবের টহল টিমকে অভিযোগ করেন। তার সামনেই অভিযুক্ত নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদকালে নারী সদস্যরা ছিলেন। সাক্ষী ছিলেন, অভিযোগকারী এনামুল হকও ছিলেন ব‌লেও জানান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তি‌নি ব‌লেন, সাক্ষীদের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদকালে আটক জেসমিন অপকটে সব অভিযোগ স্বীকার করেন। তার মোবাইলে চলমান অবস্থায় এনামুল হকের নামে খোলা ফেক ফেসবুক আইডি দেখা যায়। তার মোবাইলে সোনালী ব্যাংকের একাউন্টের তথ্য পাওয়া যায়। যেখানে লাখ লাখ টাকা জমা রশিদের তথ্য পাওয়া যায়।

পরে সাক্ষীদের সম্মুখে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আটক করা হয় ওই নারীকে। এরপর জব্দ আলামত নিয়ে একটি কম্পিউটারের দোকানে প্রিন্ট করা হয়। এরপর সেখান থেকে থানায় মামলার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে ওই নারী অসুস্থবোধ করেন। তখন র‌্যাব মামলার চেয়ে তাকে হাসপাতালে নেয়াকেই অধিক গুরুত্ব দেয়।

কমান্ডার মঈন বলেন, র‍্যাব শুধু না, প্রত্যেকটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নারী ও শিশু অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সিরিয়াস। আমরা ওই নারীকে নওগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যাই। তিনি গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে হাসপাতালে ঢোকেন। তার আত্মীয়-স্বজন ও এসিল্যান্ডসহ ভূমি অফিসের তার সহকর্মীদের খবর দেয়া হয়।সন্ধ্যার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্ট্রোক সন্দেহে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে সিটি স্ক্যানে স্ট্রোকের আলামত আসে। তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ওই নারী কী কারণে মারা গেছেন তা কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেছেন। ডেথ সার্টিফিকেটে উঠে এসেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে পারমিশন লাগে। ভুক্তভোগী যুগ্ম সচিব এনামুল হক অনুমতি সাপেক্ষে পরবর্তীসময়ে থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।

‘যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, জেসমিন নামে ওই নারী র‍্যাব হেফাজতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরবর্তীসময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। এখানে র‍্যাব সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে আমাদের ইনকোয়ারি সেল রয়েছে। এরই মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তদন্তে দেখা হচ্ছে কারও কোনো ধরনের অবহেলা, গাফিলতি বা যোগসাজশ কিংবা অনৈতিক কিছু ছিল কি না। তদন্তে যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয়, তাহলে অতীতের ন্যায় চাকরিচ্যুতিসহ কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কারও অবহেলা বা গাফিলতি র‍্যাব পেয়েছে কি না, জানতে চাইলে কমান্ডার মঈন বলেন, এটা এখনই বলার মতো সময় আসেনি। মেডিকেল রিপোর্টে সব ক্লিয়ার। তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত কমিটি তদন্তে যদি কারও গাফিলতি পায়, অবশ্যই আমরা আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ