36 C
আবহাওয়া
১:০০ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কালুরঘাট সেতু মেরামতে দরপত্র আহ্বান মার্চে

কালুরঘাট সেতু মেরামতে দরপত্র আহ্বান মার্চে

কালুরঘাট সেতু মেরামতে দরপত্র আহ্বান মার্চে

বিএনএ, চট্টগ্রাম: কালুরঘাট রেলওয়ে সেতুর মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। পুরোনো এই কালুরঘাট সেতুতে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যানবাহন। তারপরও কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের জন্য কালুরঘাট সেতু মেরামত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ১৯৩১ সালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত হয় এ সেতুটি। চলতি বছরের শেষের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে রেল চালু করার কথা রয়েছে।

জানা যায়, বহুল প্রত্যাশিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেল প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি শেষ হয়েছে। প্রায় ৭০ কিলোমিটারেরও বেশি রেললাইন এখন দৃশ্যমান। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট ২০ ভাগ কাজ শেষ করার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সেই সাথে পুরোনো কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু মেরামত ও লোড ক্যাপাসিটি বর্ধিত করার কাজও খুব দ্রুত এগিয়ে চলছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি কীভাবে সংস্কার ও ব্যবহার উপযোগী করা যায় সে জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাছে পরামর্শ চেয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সেতুর ওপর রেল চলাচলের জন্য সার্ভেও করছে বুয়েটের পরামর্শক দল।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, মার্চের প্রথম দিকে সমীক্ষা রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে মার্চেই দরপত্র আহ্বান করা হবে। যৌথ অর্থায়নে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের দোহাজারী টু কক্সবাজার নতুন রেলপথ নির্মাণকাজ চলছে। বর্তমানে কালুরঘাট রেলওয়ে সেতুর লোড ক্যাপাসিটি প্রতি এক্সেলে ১০/১২ মেট্রিক টন, সেটিকে ১৫ মেট্রিক টনের কাছাকাছি উন্নীত করা হবে। মিটারগেজ বা এমজি, যার প্রতি এক্সেলে লোড ক্যাপাসিটি হবে ১৫ মেট্রিক টন আর ব্রডগেজ বা বিজি, যার এক্সেলে লোড ক্যাপাসিটি ২৫ মেট্রিক টন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পরামর্শক দল প্রতিবেদন দিলেই সেই অনুসারে আগামী মার্চে দরপত্র আহ্বান করা হবে।

যেহেতু নতুন রেলপথে ব্যবহৃত ইঞ্জিন ও ট্রেনের বগির লোড ক্যাপাসিটি বেশি; সে কারণে কালুরঘাট রেলওয়ে সেতুটিকে উন্নীত করা হচ্ছে। এ দিকে দোহাজারী থেকে নগরীর ষোলশহর পর্যন্ত অংশের মধ্যে ৪০ কিলোমিটার সিঙ্গেল ট্র্যাক মিটারগেজ লাইনটি রূপান্তর করা হচ্ছে ডাবলগেজ লাইনে (মিটারগেজ ও ব্রডগেজে)। ওই কাজও খুব দ্রুত এগিয়ে চলছে।

রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির যৌথ অর্থায়নে বৃহৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ১২৯ কিলোমিটার সিঙ্গেল ট্র্যাক ডাবলগেজ (একই সাথে মিটারগেজ বা এমজি ও ব্রডগেজ বা বিজি) দীর্ঘ রেলপথটি নির্মিত হচ্ছে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে। প্রথম ভাগে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার (দুই লটে) রেলপথ বাস্তবায়নের কাজ চলছে। প্রথম অংশের কাজ সমাপ্তের পরেই শুরু হবে কক্সবাজার-ঘুমধুম পর্যন্ত অবশিষ্ট কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণকাজ। ২৮ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে আসছে চার হাজার ৯১৯ কোটি সাত লাখ টাকা এবং এডিবির ঋণ ১৩ হাজার ১১৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

প্রস্তাবিত নতুন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের মধ্যে প্রথম ধাপে দোহাজারী-কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় দুই ভাগে। প্রথম ভাগে বা লটে দোহাজারী-রামু রেলপথ নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ সালের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে। আর দ্বিতীয় ভাগের বা লটে রামু-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণকাজ শুরু হয় একই বছরের মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে। এই প্রকল্পের প্রথম ধাপে রেলপথ নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে যৌথভাবে চীনের দু’টি ও বাংলাদেশের স্বনামধন্য দু’টি আন্তর্জাতিক মানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

চট্টগ্রাম দোহাজারী ভায়া ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পে রয়েছে ৯টি নতুন রেলওয়ে স্টেশন দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, রামু, ইসলামাবাদ ও কক্সবাজার সদর রেলস্টেশন, ৩৯টি ছোট ও ব্রিজ, ১৭৬টি কনক্রিট বক্স কার্লভাট, ৫২টি রাউন্ড কার্লভাট (পাইপ কার্লভাট)। এ ছাড়াও ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিসম্পন্ন রেললাইনে অত্যাধুনিক অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ট্রাফিক কন্ট্রোল ব্যবস্থাও সংযোজন করা হচ্ছে।

বর্তমানে সেতু দিয়ে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলছে। শুধুমাত্র পটিয়া পর্যন্ত দুটি ডেমু ট্রেন চলাচল করছে। দোহাজারী রুটের সব লোকাল ট্রেন চলাচল প্রায় ২ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।

বিএনএ/ বাবর মুনাফ,ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ