বিএনএ, কুবি: “কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গর্বের জায়গা হচ্ছে এখানকার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। আমি সব জায়গাতেই এটা নিয়ে গর্ব করি। যারা কালচারাল অ্যাক্টিভিটিসে জড়িত তাদের প্রতি আমার সব সময়ই এক্সট্রা একটা সমর্থন থাকে। যদি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে হয় তাহলে শিক্ষকদের যোগ্যতা বাড়াতে হবে। আমি এমন গবেষণা চাই যে গবেষণা হবে ইমপ্যাক্ট পজিটিভলী।”
‘স্বদেশী স্পন্দনে, তারুণ্যের জয়গানে’ এ স্লোগানকে ধারণ করে থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) এবং সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট এসিসটেন্স (সিসিডিএ) যৌথভাবে আয়োজন করছে ‘আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২৩’। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এ সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
উৎসবে থিয়েটারের সভাপতি ইসতিয়াক আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, থিয়েটারের উপদেষ্টা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান, সিসিডিএ’র ডেপুটি নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান।
সাংস্কৃতিক উৎসবে মোট ৫ টি বিভাগে প্রতিযোগিতা হয়। গান (লোকগীতি),গান (আধুনিক), নাচ, আবৃত্তি ও অভিনয় (দলীয়)৷ আধুনিক গানের বিভাগের প্রথম হয়েছেন কে এম ইশতিয়াক রহমান, দ্বিতীয় হয়েছেন ঐশী ভৌমিক, তৃতীয় হয়েছেন যৌথভাবে আল আরাফাত আল-আমিন রাফি ও আসিফুল হাসান। লোকসংগীত বিভাগে প্রথম হয়েছেন ঐশী ভৌমিক, দ্বিতীয় হয়েছেন সানুউ মারমা এবং তৃতীয় হয়েছেন কে এম ইশতিয়াক রহমান। নাচে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে রুমা রানি দেব, সুবর্ণা মোস্তফা ও সাদিয়া সুলতানা।
এ ছাড়া আবৃত্তিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে রুবাইয়াত তাজবীন, বিল্লাল হোসেন স্বাধীন ও অন্তা চাকমা। নাটক বিভাগে গুজব ও চিত্রাঙ্গদা এই দুটি দল অংশ নেয় এবং প্রথম হয়েছে চিত্রাঙ্গদা।
উৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী, থিয়েটারের উপদেষ্টা ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি আইনুল হক, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও থিয়েটারের সাবেক-বর্তমান সদস্যরা।
বিএনএ/ হাবিবুর রহমান, বিএম