বিএনএ, ঢাকা: দীর্ঘ ৩৩ বছর পর পুলিশ, সামরিক বাহিনীসহ প্রাধিকারপ্রাপ্ত ১০ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীর রেশন সামগ্রীর দাম বাড়ছে। আগামী ১ জুলাই থেকে রেশনের চাল ও গমের বিক্রয়মূল্য কয়েক গুণ বাড়িয়ে পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। এর পর থেকে বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এসব পণ্যের দাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ ১৯৯১ সালে রেশন পণ্যের দাম নির্ধারণ করেছিল সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এত দিন সরকার রেশনের চাল ১ টাকা ৫০ পয়সা ও গম ১ টাকা ২০ পয়সা কেজি দরে বিক্রি করে আসছিল। ১ জুলাই থেকে নতুন দাম হবে চাল ১১ টাকা ২০ পয়সা ও গম ৯ টাকা ২০ পয়সা কেজি।
জানা গেছে, অর্থ বিভাগ ২৪ জুন ‘প্রাধিকারপ্রাপ্ত ১০টি প্রতিষ্ঠানের জনবলের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে রেশনসামগ্রী বিতরণের ক্ষেত্রে চাল ও গমের বিক্রয় মূল্য পুনর্নির্ধারণ’ শীর্ষক একটি পরিপত্র জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, ১০টি প্রতিষ্ঠানের রেশন পাওয়া চাকরিজীবীদের কাছে চাল ও গমের বিক্রয় মূল্য হবে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের চাল ও গমের নির্ধারিত অর্থনৈতিক মূল্যের ২০ শতাংশ। বিভাগটি বলেছে, ‘অর্থ বিভাগ থেকে প্রতি অর্থবছরের শুরুতে চাল ও গমের অর্থনৈতিক মূল্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’
বিভাগের সূত্রগুলো জানায়, ইতিমধ্যে প্রতি কেজি চালের অর্থনৈতিক মূল্য ৫৬ টাকা ৩৮ পয়সা এবং প্রতি কেজি গমের অর্থনৈতিক মূল্য ৪৬ টাকা ১ পয়সা করা হয়েছে। এই দামের ২০ শতাংশ হিসেবে রেশনের চাল ১১ টাকা ২০ পয়সা এবং গম ৯ টাকা ২০ পয়সা কেজি দরে বিক্রি হবে। অর্থাৎ সরকারের প্রাধিকারপ্রাপ্ত ১০ প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের এখনকার চেয়ে প্রায় ৮-৯ গুণ বেশি দামে রেশনের চাল ও গম কিনতে হবে। তবে মূল্যবৃদ্ধির পরও তারা বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে রেশনের চাল ও গম পাবেন।
অর্থ বিভাগের পরিপত্র অনুযায়ী রেশনের চাল ও গম বিক্রি করা হবে ১০টি প্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের জনবলের কাছে। এগুলোকে ‘বিশেষ জরুরি হিসেবে প্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (এনএসআই), সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ (সেনা, নৌ ও বিমান), বাংলাদেশ পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), কারা অধিদপ্তর, বেসরকারি প্রতিরক্ষা, অগ্নিনির্বাপণ অধিদপ্তর এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
বিএনএ/এমএফ