22 C
আবহাওয়া
১:০৮ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » আদিম নক্ষত্রের খোঁজে উড়াল দিলো জেমস ওয়েব

আদিম নক্ষত্রের খোঁজে উড়াল দিলো জেমস ওয়েব

মহাকাশ

বিএনএ, বিজ্ঞান ডেস্ক: নির্ধারিত সময়েই মহাকাশের পথে যাত্রা করেছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী স্পেস টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব (জেডব্লিউএসটি)। ফ্রেঞ্চ গায়নায় অবস্থিত ‘ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)’র লঞ্চপ্যাড থেকে জেডব্লিউএসটি যাত্রা শুরু করেছে শনিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে। মহাকাশে পৌঁছাতে টানা ২৭ মিনিট সময় নিয়েছে জেডব্লিউএসটি বহনকারী আরিয়ান ৫ রকেট।

নাসার প্রশাসক বিল নেলসন এ টেলিস্কোপকে ‘টাইম মেশিন’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, জেমস ওয়েব আমাদের মহাবিশ্ব সম্পর্কে জানাবে, জানাবে আমরা কে বা কী দিয়ে তৈরি। আর এই সন্ধান হবে অনন্তকালের।

নেলসন উৎক্ষেপণের পর ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে বলেন, ‘আমরা কখনো যা ভাবিনি এমন সব অবিশ্বাস্য ঘটনার সন্ধান আমরা খুঁজে পেতে চলেছি। এখনো অনেক কিছু সঠিকভাবে চলতে হবে, কাজ করতে হবে। আমরা জানি বড় ধরনের পুরস্কার পেতে বড় ঝুঁকিও থাকে।’

একুশ শতকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও প্রতিশ্রুতিশীল বৈজ্ঞানিক প্রকল্পটির জন্য ব্যয় হচ্ছে এক হাজার কোটি ডলার, যা প্রাথমিক বাজেটের প্রায় ১০ গুণ। নাসার এই প্রকল্পের নকশা থেকে শুরু করে মহাকাশ যাত্রার মাঝে পার হয়েছে ৩০ বছর।

১৩৮০ কোটি বছর আগে হওয়া বিগ ব্যাং বা মহা-বিস্ফোরণের পর মহাবিশ্ব কীভাবে তৈরি হয়েছিল, কীভাবে তৈরি হয়েছিল প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রজন্মের তারা, কীভাবে তৈরি হয়েছিল গ্যালাক্সি ও গ্যালাক্সি ক্লাস্টার, তা জানাবে জেমস ওয়েব। খুঁড়ে বের করবে মহাবিশ্বের জন্ম, বিকাশ ও ক্রমবিবর্তনের ইতিহাস।

তিন দশক আগে একই উদ্দেশ্যে নাসা মহাকাশে পাঠিয়েছিল হাবল স্পেস টেলিস্কোপকে। যা এখনো দাপটে কাজ করে চলেছে মহাকাশে। তবে মহাবিশ্বের ১২০০ কোটি বছরের বেশি ইতিহাস খুঁড়ে দেখার ক্ষমতা নেই হাব্‌ল টেলিস্কোপের। তাই জেমস ওয়েবকে পাঠানো হচ্ছে।

নাসা জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় উৎক্ষেপণের আধ ঘণ্টা পর খুলে যাবে টেলিস্কোপের পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার বিশাল অ্যানটেনা আর টেলিস্কোপকে শক্তি জোগানোর জন্য প্রয়োজনীয় সুবিশাল সোলার প্যানেল। উৎক্ষেপণের ৬ দিন পর থেকে খুলতে শুরু করবে সানশিল্ড। যা তীব্র সূর্যরশ্মির ঝাপটা আর তাপ থেকে বাঁচাবে টেলিস্কোপটিকে। এই সানশিল্ডগুলো দেখতে একেবারে পিয়ানো অ্যাকর্ডিয়ানের মতো। তত দিনে চাঁদকে পেরিয়ে যাবে জেমস ওয়েব।

উৎক্ষেপণের পর দ্বিতীয় সপ্তাহে টেলিস্কোপের সুবিশাল আয়না খুলে যাবে। তার ৬ মাস পর থেকে কাজে নামবে জেমস ওয়েব। হাব্‌ল এখন পর্যবেক্ষণ চালায় দৃশ্যমান আলো ও অতিবেগুনি রশ্মির মতো আলোকতরঙ্গের কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যে। এ ব্যাপারেও হাবলকে টপকে যাবে জেমস ওয়েব। তার পর্যবেক্ষণ চলবে অনেক দূরে পৌঁছানোর অনেক বেশি তরঙ্গদৈর্ঘ্যের অবলোহিত রশ্মি তরঙ্গে। জেমস ওয়েবকে বসানো হবে পৃথিবী থেকে ১০ লাখ মাইল দূরে।

একটি স্কুল বাসের সমান ওজনের এই টেলিস্কোপ সেখান থেকে প্রদক্ষিণ করবে সূর্যকে। হাব্‌ল তা করে না। হাব্‌ল প্রদক্ষিণ করে পৃথিবীকে। সূর্য থেকে দেখলে জেমস ওয়েব থাকবে পৃথিবীর পেছনে, ল্যাগর‌্যাঞ্জে ২ পয়েন্টে। পৃথিবীর যেখানে যখন রাত, সেই দিকে। উৎক্ষেপণের পর থেকে জেমস ওয়েবের ল্যাগর‌্যাঞ্জে ২ পয়েন্টে পৌঁছতে সময় লাগবে এক মাস।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ