বিএনএ ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরের একটি বাড়িতে গ্যাসের পাইপলাইনে বিস্ফোরণে শিশুসহ সাতজন দগ্ধ হয়েছেন। বুধবার (২৫ আগস্ট) মধ্যরাতে মিরপুর ১১ নম্বরের সি ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- বাড়ির মালিক রফিকুল ইসলামের মা রওশন আরা বেগম (৭০), ভাই শফিকুল ইসলাম (৩৫) ছোট বোন রিনা বেগম (৪৫) বাসার নিচতলার ভাড়াটিয়া নাজনীন আক্তার (২৫) তার মেয়ে নওশীন (৫) পাশের বাসার ভাড়াটিয়া রেনু বেগম (৩৫) ও পথচারী সাজ্জাদ হোসেন (৩০)। তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানো হয়েছে।
বাড়ির মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, তাদের বাড়ির নিচতলায় তিতাস গ্যাসের লাইন লিকেজ ছিল। দুই দিন আগে লিকেজ মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে নিচতলায় আগুন ধরে যায়। এতে সাত জন দগ্ধ হন।
পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাসির উদ্দিন জানান, ওই বাসায় কয়েকদিন গ্যাস ছিল না। রাতে হঠাৎ গ্যাসের চাপ বেড়ে যায়। সে সময় বাড়ি লোকজন গ্যাস রাইজার পরিষ্কার কারার সময় হঠাৎ করে সেটি বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে সাত জন দগ্ধ হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়।
ফায়ার সার্ভিসের সদরদফতরের কামরুল আহসান জানান, মিরপুরের চারতলা বাড়ির নিচতলায় অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। রাত ১১টা ২০ মিনিটে আগুন লাগলেও ১২টা ২০ মিনিটে তা নেভানো হয়। গ্যাসের লাইনের জয়েন্ট খুলে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন জানিয়েছেন, গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে সাতজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। সবার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান তিনি।
এছাড়া, শিশু নওশীনের ১৫ শতাংশ, শফিকুল ইসলামের ৮৫, সুমনের ৪৫, রওশন আরার ৮০, রিনার ৭০, নাসরিনের ২৭ ও রেনুর শরীরের ৩৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানান ডা. এসএম আইউব হোসেন।
বিএনএনিউজ/আজিজুল,আরকেসি