বিএনএ, ঢাকা : দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটের দিন সকাল থেকে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির প্রতিটি ভোট হবে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) তেঘরিয়া ইউনিয়নে ৮ নং ওয়ার্ডের কদমপুর এলাকায় উঠান বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ভোট দিতে হবে। আমাদের এ ভোট হবে বিএনপি-জামায়াত জোটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। আমার প্রার্থী জিতবে এটা ভেবে ঘরে বসে থাকলে হবে না। কে জিতবে আর কে জিতবে না, এটা আল্লাহ তায়ালা জানেন। ভোটটা দেওয়া মানে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। এটা মাথায় রাখতে হবে।
এসময় তেঘরিয়ায় বিগতদিনের উন্নয়নের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের আরও বেশি যেতে হবে। কারণ, বিগত দিন সব থেকে বেশি কাজ এই তেঘরিয়া ইউনিয়নে হয়েছে। ৬০০ বিঘার ওপর এখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চলছে। এটা শেষ হলে দেখবেন এই এলাকার চেহারা আরও পরিবর্তন হয়ে গেছে। আপনাদের পাশের কান্ডা ইউনিয়নে রেলস্টেশন হয়েছে। এখান থেকে চাইলে আপনি ট্রেনে চড়ে যশোর-খুলনা-বেনাপোল হয়ে কলকাতা চলে যেতে পারবেন। আবার কমলাপুর হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যেতে পারবেন। এটা সম্ভব হয়েছে কেন? এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার কারণে। নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে।
বিএনপি ও তারেক জিয়ার সমালোচনা করে নসরুল হামিদ বলেন, এই কয়েকদিন আগে তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন দিয়েছে। বাচ্চাসহ চারজন মারা গেছে। এদের বুক কাপে না। লন্ডনে বসে নির্দেশ দেয় বুক কাপে? মানুষ হত্যা করে শান্তি চায় এটা হতে পারে! ২০১৪ সালেও আমরা দেখেছি। শান্তির কথা বলে সারা বাংলাদেশে নৈরাজ্য করেছে। আপনাদের এ কথাগুলো স্মরণ রাখতে হবে।
নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বলছে না যে ২৮ তারিখে দেশ শেষ? ওরাই শেষ। একটাকেও খুজে পাওয়া গেলো না ২৯ তারিখে, কই জানি গায়েব হয়ে গেছে। আরও বেশি দেউলিয়া হয়ে গেছে। এবার নির্বাচনে না এসে যে ভুল করলো বিএনপি জামায়াত জোট, ওরা সারা জীবনের জন্য নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলো।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ, তেঘরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহর চান মোল্লাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।