35 C
আবহাওয়া
৭:৫৬ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » অদিতাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা: গৃহশিক্ষক রনির স্বীকারোক্তি

অদিতাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা: গৃহশিক্ষক রনির স্বীকারোক্তি

অদিতাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা

বিএনএ ডেস্ক: নোয়াখালীর মাইজদীর লক্ষীনারায়ণপুরে অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রী তাসমিয়া হোসেন অদিতাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন গৃহশিক্ষক আবদুর রহিম রনি।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় আসামি।সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার বলেন, রনির কাছে প্রাইভেট পড়তো নোয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী অদিতা। হঠাৎ করে অদিতা তার কাছে প্রাইভেট পড়তে অনীহা প্রকাশ করে। পরে নতুন শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে শুরু করে। এতে রনি বিক্ষুব্ধ হয়।

শহীদুল ইসলাম জানান, রনিকে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার তার থুতনি ও ঘাড়ে নখের আঁচড়ের তাজা দাগ দেখা যায়। নখের আঁচড়ের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে একেক সময় একেক তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। কোনো সদুত্তর না পেয়ে তার বিষয়ে পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে।

অদিতা হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে রনির বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে রনি ঘটনার সাথে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার জানান, বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে অদিতার বাসায় যায় তার সাবেক গৃহশিক্ষক রনি। বাসার দরজায় নক করলে অদিতা দরজা খুলে দেয়। তখন সে বাসায় প্রবেশ করে অদিতার সঙ্গে গল্পগুজব করে। গল্পগুজবের একপর্যায়ে রনি অদিতাকে জড়িয়ে ধরে চুমু দেয়ার চেষ্টা করে।

শহিদুল ইসলাম জানান, অদিতা বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে রনি অদিতাতে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরে রান্না ঘর থেকে ছোরা এনে অদিতার বাম হাতের রগ ও গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে হাতের বাঁধন খুলে দেয়।

এ ঘটনার পর আসামি রনি ঘটনার ভিন্ন রূপ দিতে ঘরের আলমিরা ও ওয়ারড্রবের জামা-কাপড়, কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রুমের দরজা লক করে বেরিয়ে যায়। যাবার সময় ঘরের মূল দরজা বাহির থেকে তালা লাগিয়ে দেয়।

শনিবার দুপুরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘাতক রনি এসব কথা বলেন। যোগ করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম।

বিএনএ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ