22 C
আবহাওয়া
১২:২০ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রাম বন্দর মদের খনি!

চট্টগ্রাম বন্দর মদের খনি!


বিএনএ, চট্টগ্রাম: আইপি জালিয়াতি করে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আরও দুই কন্টেইনার মদের চালান আটক করেছে কাস্টমস হাউস। সোমবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ডে সিএফএস শেড থেকে কাস্টমসের এআইআর (অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ) ও পিসিইউ (পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিট) শাখা কন্টেইনার দুটি জব্দ করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাস্টমসের এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. সাইফুল হক। তিনি জানান, নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের ডং জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল (বিডি) কোম্পানি লিমিটেডের নামে প্যাকেজিংয়ের উপকরণ ঘোষণায় একটি ও বাগেরহাটের মোংলা ইপিজেডের ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের নামে টেক্সটাইল সুতা ঘোষণায় আরেক কন্টেইনার মদ আমদানি করা হয়। চালান দুটিতেই আইপি জালিয়াতি করা হয়। তবে এ দুইটি চালান খালাসের লক্ষ্যে কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল না হওয়ায় সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান কারা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এর আগে গতকাল রোববার (২৪ জুলাই) একটি কন্টেইনার থেকে ১ হাজার ৪৩০ কার্টনে ১৫ হাজার ২০৪ লিটার বিভিন্ন ব্রান্ডের বিদেশি মদ পাওয়া গেছে। যার শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা। এ চালানে ১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছিল।

এছাড়া গত শনিবার (২৩ জুলাই) বন্দর থেকে খালাস হওয়া দুই কন্টেইনার মদ নারায়ণগঞ্জ থেকে ফেরত আনা হয়েছে। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। চালানটি গত ১৬ জুলাই চীন থেকে এসেছে নিলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের ডনগ জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিডি লিমিটেডের নামে। এ চালানগুলোর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট চট্টগ্রামের জাফর আহমেদ। ঘোষণা ছিল টেক্সটারড ইয়ার্ন পলিয়েস্টার রিসাইকেলড পোস্ট।

জানা যায়, সিএন্ডএফ এজেন্ট জাফর আহমেদ এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে অফিস কোড- ৩০৩ এর অধীনে বি/ই নং- সি ২০০২৩১ গত ২০ জুলাই দাখিল করেন। পণ্যচালানটি আমদানির লক্ষ্যে বেপজা থেকে পাওয়া আইপি নম্বর: আই ই ২৭০৫২২০০৩০ ইস্যু করা হয়। গত ২০ জুলাই উভয় চালানের শুল্কায়ন শেষ হয়।

এদিকে, র‌্যাব এ অবৈধ মদ আমদানি কারবারের সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা আব্দুল আহাদ (২২)সহ সাইফুল ইসলাম (৩২) ও মো. নাজমুল মোল্লা (২৩) নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। আজ সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসাদ বেগমের আদালতে পুলিশ তিন আসামির ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত দুই আসামির তিন দিন করে এবং অপর এক আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

উল্লেখ, চট্টগ্রাম বন্দরে ২০১৫ সালের ৬ জুন পুলিশের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন সন্দেহে সূর্যমুখী তেলের একটি চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এরপর ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। বলিভিয়া থেকে আসা চালানটির প্রতিটি ড্রামে ১৮৫ কেজি করে সূর্যমুখী তেল ছিল। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়।

এ ঘটনায় নগরীর বন্দর থানায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান আইনের ধারায় একটি মামলা হয়। আসামি করা হয় চালানটির আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদকে। র‍্যাব নুর মোহাম্মদসহ ১০ জনকে আসামি করে ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। আদালত তা গ্রহণ করেন।

কোকেনের এ চালানটি উরুগুয়ের মন্টিভিডিও থেকে জাহাজীকরণ করা হয়েছিলো। পরে তা সিঙ্গাপুর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ