বিএনএ, ঢাকা: নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাওশি) এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। রোববার (২৪ জলাই) রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে মিল্টনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহাদত হোসেন সুমা। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চন্দ্র শেখর হালদার মাউশির প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
মাউশির প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। গ্রেপ্তার অন্যান্য আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং জিজ্ঞাসাবাদেও চন্দ্র শেখর হালদারের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গিয়েছিল।
মাউশিতে ৫১৩টি পদে নিয়োগের জন্য রাজধানীর ৬১টি কেন্দ্রে গত ১৩ মে নিয়োগ পরীক্ষা হয়। এতে প্রার্থী ছিলেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ২৯৪ জন। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় লালবাগ থানায় মামলা হয়। ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষক আবদুল খালেক বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে পরীক্ষা শুরু হয় বেলা তিনটায়। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে পরীক্ষার্থী সুমন জোয়াদ্দার নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জোয়াদ্দার জানান, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বেলা ২টা ১৮ মিনিটে তার মুঠোফোনে পটুয়াখালীর সাইফুল ও টাঙ্গাইলের খোকন উত্তরপত্র পাঠান।
ওই মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হলেন—পটুয়াখালী সরকারি কলেজের প্রভাষক (৩৪তম বিসিএস) রাশেদুল ইসলাম, মাউশির উচ্চমান সহকারী আহসান হাবীব, অফিস সহকারী নওশাদুল ইসলাম, খেপুপাড়া বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ও পরীক্ষার্থী সুমন জমাদ্দার। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় মাউশি ওই পরীক্ষা বাতিল করেছে।
বিএনএ/এমএফ