বিএনএ ডেস্ক: বাংলাদেশের সক্ষমতা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক বহুল কাঙ্খিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৫ জুন) বেলা ১২ টার দিকে পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের ফলে বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগের নতুন ইতিহাস রচনা হলো। দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলাসহ সারাদেশের মানুষ এই দিনটির জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ করেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বঙ্গবন্ধু ও নিজের একটি মূর্যাল উন্মোচন করেন তিনি। এর আগে বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের আগেই পদ্মা সেতুর টোল পরিশোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে নিজের গাড়িসহ তার গাড়ি বহরের সকল টোল পরিশোধ করেন তিনি।
উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের পর পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্ত থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যাওয়ার জন্য রওনা দেন তিনি। তবে মাঝ পদ্মায় থামেন শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতুর উপরে দাঁড়িয়ে বিমান বাহিনীর ৩১টি বিমান ও সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সমন্বয়ে এক মনোজ্ঞ ‘ফ্লাইং ডিসপ্লে’ উপভোগ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল এসময় তার সঙ্গে ছিলেন।
এসময় দুটি মিগ-২৯, দুটি এফটি-৭বিজি ও দুটি এফ-৭ বিজিআইর সমন্বয়ে স্মোক পাস, তিনটি এফ-৭ বিজির ফ্লাই পাস্ট প্রদর্শন, একটি সি-১৩০জে ও পাঁচটি কে-৮ ডব্লিউর সমন্বয়ে স্মোক পাস প্রদর্শন, তিনটি এল-৪১০ ও পাঁচটি গ্রোব-১২০টিপির সমন্বয়ে ফ্লাই পাস্ট প্রদর্শন, পাঁচটি এমআই-১৭/১৭১ এর মাধ্যমে পতাকা প্রদর্শন ও একটি বেল-২১২ এর মাধ্যমে লিফলেট বিতরণ, দুটি কে-৮ডব্লিউর মাধ্যমে শেকুল মেন্যুভার প্রদর্শন, পাঁচটি কে-৮ডব্লিউ এর মাধ্যমে ভিক্সেন ব্রেক প্রদর্শন এবং একটি মিগ-২৯ এর মাধ্যমে লো লেভেল অ্যারোবেটিক্স প্রদর্শন করা হয়।
পাঁচ হেলিকপ্টারের একটি বহরের শুরুতেই ছিলো লাল সবুজের পতাকা। দ্বিতীয়টিতে ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত পতাকা। তৃতীয় হেলিকপ্টারে ছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত পতাকা। চতুর্থ ও পঞ্চম হেলিকপ্টার বহন করে স্বপ্নজয় ও জাতীয় স্লোগান জয়বাংলা সম্বলিত পতাকা।
ফ্লাইং ডিসপ্লে উপভোগ শেষে প্রধানমন্ত্রী চলে যান পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে। সেখানেও পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করেন তিনি। দোয়া করেন দেশের সার্বিক মঙ্গল কামনায়।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি চলে যান মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে। সেখানে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেন তিনি।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম