40 C
আবহাওয়া
৩:৪৮ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সহকর্মীকে অসম্মান ও হুমকির অভিযোগ রাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে

সহকর্মীকে অসম্মান ও হুমকির অভিযোগ রাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে


বিএনএ, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) অধ্যাপক ড. এ.কে. শামসুদ্দোহাকে ইন্সটিটিউট পরিচালকের সামনেই তুই-তুকারি ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে অপর এক সহকর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার (২৪ মে) দুপুর ১টায় ইনস্টিটিউট কমিটির ৭৫তম মুলতবি সভায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন অধ্যাপক ড. গোলাম আরিফ। ঘটনার পর তুই-তুকারি, হুমকি ধমকি ও অসদাচরণের প্রতিকার চেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ একাডেমিক কমিটি ও পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ.কে. শামসুদ্দোহা।

অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ইনস্টিটিউট কমিটির ৭৫তম মুলতবি সভায় সভাপতির অনুমতি নিয়ে বক্তব্যে দিচ্ছিলেন ভুক্তভোগী অধ্যাপক। বক্তব্য দীর্ঘায়িত হওয়ায় ড. গোলাম আরিফ উপস্থিত সদস্যদের সামনে তার আসন থেকে লাফ দিয়ে উঠে চিৎকার করেন এবং দেরি হওয়ায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। ‘এই দোহা তুই’ বলে ভুক্তভোগী শিক্ষকের দিকে তেড়ে আসেন এবং বিভিন্ন ধরণের অসম্মান ও অসৌজন্যমূলক কথাবার্তা বলেন। এক পর্যায়ে আঙ্গুল উচিয়ে হুমকি-ধমকি প্রদান করেন।

এসময় উপস্থিত সবাই এমন কর্মকাণ্ডের স্বাক্ষী বলে অভিযোগ পত্রে লিখেন তিনি। পরে সভার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন পরিচালক।

তবে অতীতেও সভায় বসে যৌক্তিক কথা ছাড়া অহেতুক হুমকি-ধমকি দিয়ে সভার পরিবেশ নষ্ট করেছেন বলে অনেক অভিযোগ আছে এ শিক্ষকের নামে। এ ব্যপারে বহুবার তাকে এ ধরণের আচরণ না করার জন্য হুঁশিয়ারি প্রদান করেছেন ইন্সটিটিউটের পরিচালক যা একাডেমিক কমিটির কার্যবিবরণীতে লিপিবদ্ধ করা আছে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী অধ্যাপক ড. এ.কে. শামসুদ্দোহা বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের প্রতিকার, পুনরাবৃত্তি রোধ ও সভার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি আমার অভিযোগের সঠিক বিচার আমি পাব।

এদিকে ঘটনার পুরো বিষয়টিকে অস্বীকার করে অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. গোলাম আরিফ বলেন, তাকে (ভুক্তভোগী) কোনো তুই-তুকারি ও হুমকি ধমকি করা হয়নি। তার বক্তব্য দেরি হওয়ায় আমার বিরক্ত লাগছিল। আমি চলে যাব ভেবে উঠছিলাম, কিন্তু আমার ওঠা দেখে ড. এ.কে. শামসুদ্দোহা হুমকি-ধমকি দিচ্ছিল। এর আগেও তিনি আমার নামে অনেক বিষয়ে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু সেসব অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি একাডেমিক কমিটি।

তবে এ বিষয়ে একাধিকার বার মুঠে ফোনে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি ইনস্টিটিউটটির বর্তমান পরিচালক অধ্যাপক ড. জিন্নাত আরা বেগমের।

বিএনএ/সাকিব, এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ