বিএনএ,ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজ থেকে আমাদের বিদায়, নতুন নেতৃত্ব আসুক সেটাই আমি চাই। যুদ্ধ চাই না। স্যাংশন চাই না। এগুলো বন্ধ করুন। সব দেশ স্বাধীন, তারা তাদের মতো চলতে পারবে, সে অধিকার তাদের আছে। যুদ্ধের ভয়াবহতা আমরা জানি।
শনিবার(২৪ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের মুলতবি ঘোষণার সময় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিজের জীবদ্দশায় বাংলাদেশের স্বার্থ কখনও নষ্ট হতে দেব না। ভোট চুরি করে এ দেশে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারে না ।খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু কারও ভোট চুরি করলে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেয় না। এদেশের মানুষ মেনে নেয়নি। তখন গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল, আন্দোলন হয়েছিল। খালেদা জিয়া ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল। আর ৩০ মার্চ পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল। বাংলার জনগণ তাকে বাধ্য করেছিল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যাতে সরকারে না আসতে পারে, অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের এতটুকু স্বার্থ আমার জীবন থাকতে কারও হাতে তুলে দেবো না, এটাই ছিল আমার প্রতিজ্ঞা।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ। তিনি দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য তিনি সেটা পারেননি। আমরা সেটা করছি।
একাত্তরের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, শিশু ও নারীর মানবাধিকার লংঘন হয় সেখানে। অতএব, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করুন। তাদের উসকানি দেওয়া বন্ধ করুন। আমরা শান্তি চাই। এই যুদ্ধের কারণে অর্থনীতিতে বিপর্যস্ত অবস্থা।
বিএনএ/ ওজি