বিএনএ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাত হেনেছে দেশের মূল ভূখণ্ডে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি সভা করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ‘কৃষিতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় জরুরি প্রস্তুতিমূলক সভা’ অনুষ্ঠিত হয়। কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়াসহ বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রণালয়ের সভায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল, সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশনাসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নির্দেশনা জারি করা হয়। সেগুলো হলো, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কৃষি বিভাগের সব কার্যালয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা রাখা; ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বপ্রস্তুতি ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া; উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক মাঠে অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে ও কৃষকদের পরামর্শ দিতে হবে।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয়া; ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অগ্রিম প্রস্তুত করে রাখা, যাতে দ্রুত কৃষকদের পুনর্বাসন সহায়তা প্রদান করা যায়; যেসব এলাকায় আমন ধান ৮০ শতাংশ পেকেছে, সেসব ধান কাটার পরামর্শ প্রদান এবং উপকূলীয় এলাকায় ফসলের খেতে পানি প্রবেশ করলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা।
এ ছাড়া সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক সমন্বয় করা ও স্লুইসগেট অপারেশনের মাধ্যমে লবণাক্ত পানি শস্যখেতে ঢুকে পড়া ঠেকাতে ব্যবস্থা নেয়া। জোয়ারের উচ্চতা অনেক বেশি হওয়ায় লবণাক্ত পানি প্রবেশ করলে তা নিষ্কাশনে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়ে কৃষি বিভাগকে নিয়মিতভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিএনএ/এ আর