উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থূলতার মতো সমস্যা যাদের রয়েছে, তাদের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। যেকোনো বয়সে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এর নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই।
চিকিৎসকেরা কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের বেশ কিছু ধরন নিয়েও বার বার সাবধান করেছেন। তাঁরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাক যে সব সময় হঠাৎ করে হবে, এমন নয়। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক’- এরও শিকার হন অনেকে।
বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, কাশি- হার্ট অ্যাাটাকের প্রাথমিক কিছু লক্ষণ। তবে এগুলোই যে একমাত্র, তা নয়। এমন অনেক উপসর্গ আছে, যেগুলো হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ বলে প্রাথমিক ভাবে না-ও মনে হতে পারে। কিন্তু তেমন কিছু দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শে চলা ভাল।
১. বেশির ভাগ সময় হার্ট অ্যাটাকে বুকের মাঝখানে চাপ বোধ হয়, যা কয়েক মিনিটের বেশি সময় ধরে থাকে। ব্যথাটা মাঝেমধ্যে চলে যায়, আবার ফিরে আসে। একটা অস্বস্তিকর চাপ ও ঝাঁকুনি অনুভব হয়।
২) পেট ব্যথা সাথে বমি বমি ভাব- প্রাথমিকভাবে গ্যাস-অ্যাসিডিটির লক্ষণ বলে মনে হতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম একটি লক্ষণ হতে পারে এটি। বেশ কয়েকবার যদি এমন হয়ে থাকে, তা হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নিন।
৩) হার্ট অ্যাটাক হওয়ার মুহূর্তে ধমনি হৃৎপিণ্ডকে রক্ত পাম্প করতে প্রবল চাপ দেয়। ভেতর থেকে অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে শরীরের তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। ঘুম থেকে ওঠার পরে যদি শরীর থেকে ঠান্ডা ঘাম বেরোতে শুরু করে তা হলে সেই মুহূর্তে চিকিৎসকের সাথে কথা পরামর্শ করে নিন।
৪) হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগে হালকা বদহজম, গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। বাড়ির খাবার খেয়ে, পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার পরও যদি এমন হতে থাকে তা হলে তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা প্রয়োজন।
৫. অনেক সময় বাহু, পিঠে, ঘাড়ে, চোয়ালে অথবা পাকস্থলীতেও অস্বস্তি অনুভব হয়।
৬. অনেক সময় বুকে অস্বস্তির সঙ্গে সঙ্গে শ্বাস ছোট হয়ে আসে। সংগৃহীত
বিএনএনিউজ২৪