28 C
আবহাওয়া
১২:০৮ পূর্বাহ্ণ - সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » মিয়ানমারে গোলাগুলি, সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা

মিয়ানমারে গোলাগুলি, সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা


বিএনএ, কক্সবাজার: টেকনাফের হোয়াইক্য সীমান্তের নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমার থেকে আবারও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা লক্ষ্য করছেন সংশ্লিষ্টরা৷ দীর্ঘদিন শান্ত থাকার পর আবারো গোলাগুলি শুরু হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে নতুন করে আতংক বিরাজ করছে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) ভোর পর্যন্ত উপজেলার হোয়াইক্যং সীমান্তে মিয়ানমারে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান সীমান্তের লোকজন। শুক্রবার রাত ১১ থেকে শুরু হওয়া গোলাগুলির শব্দ শোনা যায় ভোর পর্যন্ত।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, গত রাত থেকে ভোর পর্যন্ত থেমে থেমে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের কুমিরখালী, শীলখালী ও সাইডং এলাকা থেকে ব্যাপক গোলাবারুদের শব্দ ভেসে আসে।

রোহিঙ্গা নেতা জমির উদ্দিন বলেন, রাখাইনে এখনও অমানবিক নির্যাতন বন্ধ হয়নি ফলে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসা বন্ধ হচ্ছে না। মূলত প্রাণে বাঁচতে তারা এপাড়ে পালিয়ে আসার চেষ্টা করছে। সীমান্তে বেশকিছু রোহিঙ্গা জড়ো হচ্ছে বলে আমারও জেনেছি স্বজনদের কাছ থেকে।

স্থানীয়রা জানান , হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপাড়ে শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া গোলাগুলি শনিবার ভোর পর্যন্ত রাখাইন রাজ্যে দখলে থাকা মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সাথে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপের মধ্য গোলাগুলি ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে এখনও মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার ৬২ জন রোহিঙ্গাকে প্রতিহত করেছে। এখনও সীমান্তের ওপাড়ে হাজারও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে তৎপর রয়েছে বিজিবি।

বিজিবি-২ টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, কিছু মানুষ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ঢোকার চেষ্টা করছে। আমরা কাউকে ঢুকতে দিচ্ছি না। সীমান্তে টহল আরও বাড়ানো হয়েছে। শুক্রবার রাতে মিয়ানমারের ভেতরে গুলি চলার খবর পেয়েছি, তবে সেটি আমাদের এখতিয়ারের বাইরে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, স্থানীয় সংবাদ  মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে মিয়ানমারে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শুরু হলে প্রায় এক বছর পর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আরাকান আর্মি পুরো রাখাইন অঞ্চলের ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করে। এর পর থেকেই সীমান্তে অস্থিরতা বাড়তে থাকে।

বিএনএ/ এইচএম ফরিদুল আলম শাহীন, ওজি/শাম্মী

Loading


শিরোনাম বিএনএ