বিশ্ব ডেস্ক : ” স্মার্ট বাংলাদেশে গঠনে অনলাইনভিত্তিক জনপ্রিয় শিক্ষণ প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুলের সঙ্গে ৫ বছর মেয়াদি সরকারের যে ৫ কোটি টাকার চুক্তি ছিল সেটা তিনি বাতিল করতে চাননি। জোর করে ওই চুক্তি বাতিল করান সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। কারণ টেন মিনিট স্কুলের অন্যতম কর্ণধার আইমান সাদিক অন্দোলনকারী ছাত্রদের পক্ষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তারা তাদের ফেসবুক প্রোফাইল লাল করেছিলেন”।
ডিবি হেফাজতে থাকা আসামি সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে উপরোক্ত তথ্য প্রকাশ করেন। শুক্রবার( ২৩আগস্ট) ডিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শেখ হাসিনার সরকারে পতনের পর গ্রেপ্তার মন্ত্রী-এমপি ও প্রভাবশালী নেতাকর্মীরা ডিবি পুলিশের রিমান্ডে জেরার মুখে রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্যও দিচ্ছেন তারা।
গত ১৩ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী আয়মান সাদিক। সেসময় তিনি লিখেন, ‘কোটা সংস্কার চাই। মেধা হোক সবচেয়ে বড় কোটা’। এর একদিন পরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ ঘটনারও প্রতিবাদ জানান আয়মান সাদিক।
১৫ জুলাই সোয়া ৬টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে স্ট্যাটাস দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-এর সাবেক এ শিক্ষার্থী। ঢাবির সাদা-কালো লোগোর ওপর ছোপ ছোপ রক্তের একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে আয়মান লিখেন, ‘রক্তাক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়! আমার ক্যাম্পাসে রক্ত কেন? প্রতিবাদ জানাই।’
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী আয়মান সাদিক বলেন, কোটা আন্দোলন ২০১৮ সালে শুরু হয়েছিল। তখনও আমি প্রোপারলি (পুরোপুরি) সেই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিলাম। মেধা হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কোটা, এটাতে কোনো ডাউট (সন্দেহ) থাকা উচিত না।
আয়মানের এমন বক্তব্যের পরদিন অর্থাৎ, ১৬ জুলাই অনলাইনভিত্তিক জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব বাতিল ঘোষণা করে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট দিয়ে তথ্যের সত্যতাও নিশ্চিত করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বিএনএ,এসজিএন