18 C
আবহাওয়া
২:০৩ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » পদ্মা সেতুতে ওঠার আগে অপপ্রচারকারীদের ক্ষমা চাওয়া উচিত : তথ্যমন্ত্রী

পদ্মা সেতুতে ওঠার আগে অপপ্রচারকারীদের ক্ষমা চাওয়া উচিত : তথ্যমন্ত্রী

পদ্মাসেতুতে ওঠার আগে অপপ্রচারকারীদের ক্ষমা চাওয়া উচিত : তথ্যমন্ত্রী

বিএনএ, ঢাকা : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সার্বজনীন পদ্মাসেতুতে ওঠার আগে অপপ্রচারকারীদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। মঙ্গলবার (২৪ মে) বিকেলে রাজধানীতে মিন্টো রোডের  সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করেছেন দেশের আপামর সব মানুষের জন্য। তবে যারা এই সেতু নিয়ে অপপ্রচারগুলো করেছিলো তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমি তাদেরকে বলবো যে, ক্ষমা চেয়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যেতে পারেন জনগণ সেটিই প্রত্যাশা করে।’

ড. হাছান বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল, সিপিডি, টিআইবিসহ আরো ব্যক্তিবর্গ পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন না করার জন্য হিলারি ক্লিনটনের মাধ্যমে এমন কি বিশ্বব্যাংকে সরাসরি চিঠি লিখিছিলেন, ই-মেইল করেছিলেন। তাদের সমস্ত বিরূপ মন্তব্য, ষড়যন্ত্র, অপতৎপরতা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে। এই সেতু বাংলাদেশের সব মানুষের জন্য।’

‘যারা পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, জনগণ তাদের প্রশ্ন করছে- ক্ষমা চাওয়ার আগে তাদের পদ্মা সেতুতে ওঠার অধিকার আছে কি না’ বলেন হাছান মাহমুদ।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তাদের যদি লজ্জা থাকে তবে সেতু যাতে না হয় সেজন্য তারা যে অপপ্রচার, মিথ্যাভাষণ এবং দেশবিরোধী তৎপরতা চালিয়েছে, সেগুলোর জন্য পদ্মা সেতু ব্যবহারের আগে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

বঙ্গবন্ধু বায়োপিক নিয়ে নানা আলোচনার বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এবং আরো বিশ্বনেতাদের জীবন ও কর্মকে আড়াই-তিন ঘন্টায় তুলে আনা কঠিন। কিন্তু এই চলচ্চিত্রে সেটি তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। আর পরিচালক শ্যাম বেনেগাল ঠিকই বলেছেন, দেড় মিনিটের ট্রেলার দেখে একটা চলচ্চিত্রের ওপর মন্তব্য করা যায় না, সেজন্য পুরো ছবিটা দেখতে হবে।  আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এই চলচ্চিত্রটি একটি ডকুমেন্টরি হিসেবেও কাজ করবে। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম, আত্মত্যাগ এবং ফাঁসির মুখোমুখি দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধু যে জাতির প্রশ্নে, বাঙালির প্রশ্নে অবিচল ছিলেন সেই বিষয়গুলো নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে। আমিও অধীর আগ্রহে চলচ্চিত্রটি দেখার জন্য অপেক্ষা করছি।’

আগামী বছর থেকে কান চলচ্চিত্র উৎসবে আমরা একটি স্টল দেয়ার পরিকল্পনা করছি যাতে করে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা যায়, জানান তথ্যমন্ত্রী।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ