26 C
আবহাওয়া
৮:৩৩ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ১৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

বিএনএ, ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি শান্তিপূর্ণ সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে একযোগে কাজ করার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দশ দিনের আয়োজনের অষ্টম দিনের অনুষ্ঠানে বুধবার (২৪ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে প্রাপ্ত সম্পদকে কাজে লাগিয়ে আমরা সহজেই দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটাতে পারি। আমরা যদি আমাদের জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করি, তাহলে অবশ্যই দক্ষিণ এশিয়া বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে। এ বিশ্বাস আমাদের আছে।

ভূটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানাও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে পোপ ফ্রান্সিস এবং ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধির ভিডিও বার্তা প্রচারিত হয়।

ভুটান এবং বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার কাছে একটি স্মারক ডাক টিকেট হস্তান্তর করেন।

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে দশ দিনের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। অষ্ঠম দিন বুধবারের আয়োজনের থিম ছিল-‘শান্তি-মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত’।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন এদিন অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন। বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. রওনক জাহান অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আজকের মূল প্রতিপাদ্যের ওপর সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর একটি ভিডিও প্রেজেনটেশনও অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভুটানই প্রথম দেশ যে নাকি স্বাধীন বাংলাদেশকে সর্বপ্রথম স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়লাভের আগেই ৬ ডিসেম্বর ভুটান বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়। তখন পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে বন্দী থাকার কথা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ছিলেন। আর আমার মা, আমি, শেখ রেহানা, ছোট ভাই শেখ রাসেল, পাঁচ মাস বয়সী জয়সহ আমরা সবাই তখনো পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে বন্দী ছিলাম। বন্দী দশায় যখন রেডিওতে বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ভুটানের স্বীকৃতি প্রদানের কথা শুনতে পেলাম, সেটি আমাদের কাছে একটি অনন্য সময় ছিল। আমরা ভুটানের জনগণের সে অবদানের কথা কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করি। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য আমরা ২০১২ সালে ভুটানের মহামান্য তৃতীয় রাজা জিগমে দোর্জি ওয়াংচুককে ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার’ সম্মাননায় ভূষিত করেছি।

অনুষ্ঠানে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে মুজিব চিরন্তন শ্রদ্ধা-স্মারক উপহার দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ও সাবেক সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর, এমপি। দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ডা. লোটে শেরিং সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও উপভোগ করেন।

বিএনএ/ ওজি 

Loading


শিরোনাম বিএনএ