39 C
আবহাওয়া
৬:৪৯ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ই-কমার্স নিয়ে মতামত তুলে ধরলেন সরকারের চার মন্ত্রী

ই-কমার্স নিয়ে মতামত তুলে ধরলেন সরকারের চার মন্ত্রী

ই-কমার্স নিয়ে মতামত তুলে ধরলেন সরকারের চার মন্ত্রী

বিএনএ ঢাকা: ডিজিটাল কমার্স (ই-কমার্স) ব্যবসার সাম্প্রতিক সমস্যা নিয়ে নিজেদের মতামত দিয়েছেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ৪ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ই-কমার্স ব্যবসার সাম্প্রতিক সমস্যা নিয়ে এক পর্যালোচনা সভায় এ মতামত তুলে ধরেন তারা। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই পর্যালোচনা সভায় মতামত দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এদিন বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে এ সভা শেষ হয় ৫টা ৫০ মিনিটে।

সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ই-কমার্স বন্ধ না করে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য একটি রেগুলেটরি অথরিটি গঠন করা হবে। সারা বিশ্বের ই-কমার্স চালু রয়েছে। ইতোমধ্যে এ ব্যবসার সঙ্গে কয়েক লাখ মানুষ জড়িয়ে পড়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাণিজ্য পরিচালিত হবে।

রেগুলেটরি অথরিটি থেকে ই-কমার্সের জন্য রেজিস্ট্রেশন দেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কঠোরভাবে ডিজিটাল বাণিজ্য মনিটরিং করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, করোনাকালে ই-কমার্স সুনাম অর্জন করেছে, মানুষ উপকৃত হয়েছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অসৎ ব্যবসা ও প্রতারণার কারণে সব ই-কমার্স বন্ধ করে দেয়া ঠিক হবে না। যারা অপরাধ করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের প্রতারণার সুযোগ সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান টিপু মুনশি।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন,  মানুষ কম দামে পণ্য পেতে চাইবে, এটাই বাস্তবতা। ই-ব্যবসার জন্য জামানত রাখার ব্যবস্থা করা যায়। ব্যবসা বড় হলে জামানত তত বেশি হবে। মানুষ যাতে টাকা ফেরত পায়, সেজন্য সহযোগিতা করা প্রয়োজন। কেউ প্রতারণা করতে না পারে সেজন্য আইনের আওতায় এনে ই-কমার্সকে সুশৃঙ্খল করার পরামর্শ দেন আইনমন্ত্রী।

সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সভায় জানান, ই-কমার্সে অনেক মানুষ প্রতারিত হবার অভিযোগ আছে। ই-কমার্স পরিচালনার জন্য একটি আইন তৈরি করা প্রয়োজন। দেশের কোনো মানুষ যাতে ডিজিটাল বাণিজ্যে প্রতারিত না হন, সে জন্য পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

সভায় নিজের অভিমত তুলে ধরেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রতারণার বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এজন্য প্রচার মাধ্যম বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগানো গেলে প্রতারণার সুযোগ কমে আসবে। রেগুলেটরি অথরিটিকে অত্যাধুনিক করে গড়ে তোলাসহ মনিটরিং জোরদার করতে পরামর্শ দেন মন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল হবার সঙ্গে সঙ্গেই ই-কমার্স জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গুটিকয়েক প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য ই-কমার্স বন্ধ করে দেয়া ঠিক হবে না বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।

সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মফিজুল ইসলাম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রীনা পারভীন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এএইচএম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মেজবাউল হকসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কমকর্তারা।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ