বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানের তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানায়, ইরাক ও কাতারের সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান।
তাসনিম জানাচ্ছে, ‘বিশারাত ফাতেহ’ এবং ‘ইয়া আবা আবদুল্লাহ’ নামে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
এসব হামলায় একাধিক ওয়ারহেড বা ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম খাইবার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে।
কাতারের আল উদেইদ মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার কথা নিশ্চিত করেছে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কোর (আইআরজিসি)। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ইরাকের গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ‘আই আসাদ ঘাঁটিতে’ ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।
ইরানের প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সন্দেহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
এর আগে রোববার ভোরে যুক্তরাষ্ট্র বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান দিয়ে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, মার্কিন বিমান বাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় ‘সফল আক্রমণ’ চালিয়েছে।
ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত ১৩ জুন রাতে ইসরায়েল ইরানের মাটিতে আগ্রাসন শুরু করে। লক্ষ্যবস্তু হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়। ঘরবাড়িতে সরাসরি আঘাত হানার ফলে বেসামরিক নাগরিকরাও প্রাণ হারান। এরপর তেহরান ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে প্রতিশোধমূলক আক্রমণ চালায়। পরের দিনগুলোতে ইসরায়েলের আক্রমণের বিরুদ্ধে ইরানও ধারাবাহিকভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। উভয়পক্ষই হতাহতের খবর দিচ্ছে এবং বেশ কয়েকটি স্থাপনার ক্ষতি স্বীকার করেছে।
এদিকে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতার।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, এই হামলা কাতারের সার্বভৌমত্ব, আকাশসীমা এবং জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি আরও বলেন, কাতার রাষ্ট্র হিসেবে, এই প্রকাশ্য আগ্রাসনের জবাবে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় সরাসরি জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।
আনসারি দাবি করেন, কাতারের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ব্যর্থ করে দিয়েছে। এই হামলা সফলভাবে মোকাবিলা করেছে।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।