22 C
আবহাওয়া
৯:২৯ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কক্সবাজারে নামছে পর্যটকের ঢল, চলছে ছাড় উৎসব

কক্সবাজারে নামছে পর্যটকের ঢল, চলছে ছাড় উৎসব


।।এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন।।

বিএনএ, কক্সবাজার : এবারের ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে আসা পর্যটকরা পাচ্ছেন হোটেল, রেস্তোরা ও গণপরিবহনে বিশেষ ছাড়। তবে যেতে পারছেন না সেন্টমার্টিন। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন সেন্টমার্টিন পর্যটক শূন্য থাকলে ও মহেশখালী আদিনাথ মন্দির, রাখাইন পল্লী,রামু বৌদ্ধ বিহার, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, হিমছড়ি, দরিয়ানগর, ইনানী পাথুরেবীচ, পাটোয়ারটেক শহরের শুটকী পল্লী, ঘুমধুমের কুমির প্রজনন কেন্দ্র ও নাইক্ষ্যংছড়ি লেকসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট থাকবে পর্যটকে কানায় কানায় পূর্ণ।

আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এ সপ্তাহে ৮ লাখের অধিক পর্যটক থাকবে কক্সবাজারে। এতে প্রায় ৬ শ’ কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে পর্যটন খাতে। এমনটা মনে করেন কক্সবাজার চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা। তবে ব্যবসায়ীয়া যদি হোটেল রেস্তোয়ায়  ছাড় না দিতেন ব্যবসা হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেত। শুধু হোটেল রেস্তোরাঁয় নয় গণ পরিবহনে ও দেয়া হচ্ছে ৪০/৫০ শতাংশ হারে ডিসকাউন্ট। উল্লেখ্য এই প্রথম গণপরিবহনে পর্যটকদের জন্য ডিসকাউন্ট ঘোষণা করেছেন।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার ছিল ঈদের দিনে পর্যটক ও  স্থানীয়দের মিলনমেলা। কাঙ্খিত পর্যটক না থাকলেও স্থানীয় কক্সবাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নারী পুরুবষ এবং শিশুর সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন যানবাহনে করে শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার ভোরে কক্সবাজারে পৌঁছছেন দুই লক্ষাধিক পর্যটক। অনেকে ঈদের নামাজ পড়ে গাড়ীতে উঠেছেন, আবার কেউ কেউ আসছেন নাইট কোচে। এরই মধ্যে ২০/৩০ শতাংশ পর্যটক আগেই কক্সবাজার এসে পৌঁছেছেন। তবে এদের মধ্যে  অধিকাংশই অমুসলিম।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কলাতলী হোটেল মোটেল জোনের সভাপতি মুকিমখাঁনসহ গনপরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের চট্রগ্রাম কক্সবাজার অঞ্চলের সহ সভাপতি আবু বক্কর।

তবে রোববার থেকে পর্যটকের আগমন বাড়বে বলে আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার (২২ এপ্রিল) দুপুর থেকে সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা, সীগাল, লাবণী, কবিতা চত্বর ও ডায়াবেটিক পয়েন্টে পর্যটকের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেছে সীমিত পরিসরে। কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে  হাজার হাজার  স্থানীয়কে দেখা যায়। কক্সবাজার হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে পর্যটকটকে ভরপুর থাকবে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। কারণ ইতিমধ্যে কোটেল কর্তৃপক্ষ ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট ঘোষণা করেছেন। তাই রবিবার থেকে পাঁচ শতাধিক হোটেলের ৬০ শতাংশ রুম আগে থেকে বুকিং হয়েছে। যে কারণে প্রচুর পর্যটক আসছে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।ব্যবসায়ী সূত্রে জানাগেছে এসব পর্যটকের আনাগোনা থাকবে আগামী ২৮ এপ্রিল শনিবার পর্যন্ত।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ‘সাধারণত ঈদের দিন পর্যটকরা বের হন না। কিছু কিছু পর্যটক এসেছেন। কয়েকটি হোটেলে ৮-১০ টা রুম ভাড়া হয়েছে। তবে আগামীকাল রাত থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করবেন। আবহাওয়া ঠিক থাকলে কক্সবাজারে পর্যটকে ভরপুর হবে এবং ব্যবসায়ীরা কাঙ্খিত ব্যবসা করতে পারবেন।’

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম নেওয়াজ বলেন, ‘পবিত্র সিয়াম সাধনার পর গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। তাছাড়া আজ পবিত্র ঈদ। এদিন লোকজন যার যার বাড়িতে ব্যস্ত। তাই ঈদের দিনে সমুদ্রসৈকতে কাংখিত পর্যটক নেই। যারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা বেশীর ভাগই স্থানীয়। তবে ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে প্রচুর পর্যটক কক্সবাজারে ভিড় করবে। ইতোমধ্যে অনেকে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন এবং অধিকাংশ হোটেলে রুম বুকিং রয়েছে। সবমিলিয়ে আশা করছি পর্যটকরা ঈদের ছুটিতে তাদের প্রিয় কক্সবাজার এসে ঘুরে বেড়াবেন।’

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মুহাম্মদ শাহীন বলেন, ‘এই ঈদের টানা ছুটিতে কক্সবাজারে দৈনিক  ২ লাখ পর্যটক আসবে বলে ধারণা করছি। যতই পর্যটক আসুক না কেন, তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে ট্যুরিস্ট পুলিশ সবসময় সজাগ রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি, সাদা পোশাকদারী  গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন থকবে মাঠে।

 

এবার কোন পর্যটক সেন্টমার্টিন যেতে পারছেন না। কারণ সাগর উত্তাল থাকায় এপ্রিলের ১৫ তারিখ থেকে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

বীচ ম্যানেজম্যন্ট কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন আগামী আক্টোবর পর্যন্ত সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। কোন পর্যটক যদি তার পরও সেন্টমার্টিন যেতে চান, তা হলে  নিজ দায়িত্বে টেকনাফ বা শাহপরীরদ্বীপ থেকে কাঠের নৌকা  বা স্প্রীডবোটে চড়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হবে। এখন থেকে অক্টোবরের আগ পর্যন্ত সাগর আবহাওয়াগত কারণে রৌদ্রমূর্তি ধারণ করতে পারে। ফলে এই ঈদের ছুটির আনন্দ ভাগাভাগি করতে  আসা পর্যটক পাচ্ছেন না সেন্টমার্টিনের দুই শতাধিক হোটেল মোটেল, গেষ্ট হাউস রেষ্ট হাউস।

এদিকে কক্সবাজার রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি নঈমুলহক চৌধুরী টুটুল বলেন, হোটেল মোটেলের পাশাপাশি রেস্তোরা সমূহ ও এবার বিশেষ ছাড় দিচ্ছেন পর্যটকদের।

বিএনএনিউজ/এইচ এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ