বিএনএ, রাঙামাটি: টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে রাঙামাটির নিম্নাঞ্চল। এতে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে ১৫ হাজারের অধিক মানুষ। বৃষ্টি না থামার কারণে পাহাড় ধ্বস এবং কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি ফলে উৎকন্ঠাও বাড়ছে স্থানীয়দের মাঝে।
২২ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দুপুর ৩ টা পর্যন্ত কাপ্তাই লেকের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১০৩.৮০ ফুট। গতকাল ছিল ১০১ ফুট। তবে কাপ্তাই বাঁধের পানি ১০৮ ফুট না হওয়া পর্যন্ত ছাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নিম্নাঞ্চল এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য করা হচ্ছে মাইকিং। তার মধ্যে- কাপ্তাইয়ে ১৬, লংগদুতে ১৬ এবং বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৫৫ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিচ্ছেন।
তথ্য মতে, বর্তমানে বাঘাইছড়ির কাচালং নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় প্লাবিত হয়েছে বাঘাইছড়ি পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম এবং সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে বাঘাইছড়ির সাথে সারা দেশের সাথে সড়ক পথের যোগাযোগ। এতে দুর্ভোগ বাড়ছে স্থানীয়দের। আবার আটকা পড়ছেন সাজেকে ঘুরতে যাওয়া দুই শতাধিক পর্যটক।
এদিকে লংগদু উপজেলার মাইনি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আটারকছড়া ইউনিয়নের উত্তর ইয়ারিংছড়ি, লেমুছড়ি ও ডাঙ্গাবাজারের আশপাশের এলাকায় পানি ঢুকে পড়ছে। ইতোমধ্যে এসব এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।
রাঙামাটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নুরুল হক বলেন, আমাদের লংগদু’র বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী মানুষ কষ্টে আছেন এবং অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাচ্ছেন। এ মুহূর্তে সবার এগিয়ে আসা উচিত।
শান্তি পরিবহনের লংগদু ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান বাবু বলেন, সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় গত দুইদিন যাবৎ আমাদের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। পানি কমলে বাস চলাচল শুরু হবে।
বাঘাইছড়ির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার বলেন, বন্যা কবলিত হয়েছে বাঘাইছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল। ইতিমধ্যে ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে, লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/ কাইমুল ইসলাম ছোটন/ বিএম/ হাসনা