ধর্ম ডেস্ক: ঈদের নামাজ দুই রাকাত। বিধানগত দিক থেকে ওয়াজিব। ঈদের নামাজের পদ্ধতি প্রতিদিনের নামাজ থেকে একটু ব্যতিক্রম। এই নামাজে আজান ইকামত নেই। রয়েছে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবির। এই তাকবিরগুলো আদায়ের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম। যেহেতু বছরে দুইবার ঈদের নামাজ পড়া হয়, তাই অনেকেই নিয়মগুলো ভুলে যান।
প্রথম রাকাত
১. তাকবিরে তাহরিমা
ঈদের নামাজে নিয়ত করে তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বাঁধা।
২. সানা পড়া
সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়াতাআলা যাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।
৩. অতিরিক্ত তিন তাকবির দেওয়া।
এক তাকবির থেকে আরেক তাকবিরের মধ্যে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় বিরত থাকা। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবিরে উভয় হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দেওয়া এবং তৃতীয় তাকবির দিয়ে উভয় হাত বেঁধে নেওয়া।
৪. আউজুবিল্লাহ-বিসমিল্লাহ পড়া
৫. সুরা ফাতিহা পড়া
৬. সুরা মেলানো। অতঃপর নিয়মিত নামাজের মতো রুকু ও সিজদার মাধ্যমে প্রথম রাকাত শেষ করা।
দ্বিতীয় রাকাত
১. বিসমিল্লাহ পড়া
২. সুরা ফাতিহা পড়া
৩. সুরা মেলানো।
৪. সুরা মেলানোর পর অতিরিক্ত তিন তাকবির দেওয়া। প্রথম রাকাতের মতো দুই তাকবিরে উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠিয়ে ছেড়ে দেওয়া; অতঃপর তৃতীয় তাকবির দিয়ে হাত বাঁধা।
৫. তারপর রুকুর তাকবির দিয়ে রুকুতে যাওয়া।
৬. সিজদা আদায় করে তাশাহহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা।
খুতবা শোনা ওয়াজিব
ঈদের নামাজ পড়ার পর ইমাম খুতবা দেবেন আর মুসল্লিরা খুতবা মনোযোগের সঙ্গে শুনবেন।
দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজ ছয়টি অতিরিক্ত ওয়াজিব তাকবিরসহ আদায় করতে হয়। ঈদের নামাজের অতিরিক্ত ওয়াজিব তাকবিরে ভুল হলে অর্থাৎ তাকবির কম বা বেশি হলে অথবা বাদ পড়লে সাহু সিজদা প্রয়োজন নেই। বরঞ্চ এমন লোক বাড়ি গিয়ে দুই চার রাকাত নফল নামাজ পড়ে নিবে। তবে একাধিক লোকের ঈদের নামাজ ছুটে গেলে তারা আলাদা জামাত করতে পারবে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ