বিএনএ, ফেনী : ‘আমার স্বামী রাজমিস্ত্রীর যোগাড়ে । আমি গৃহিণী। আমরা স্বামী স্ত্রী তিন মেয়ে দুই ছেলের সংসার। বড় মেয়ের বিয়ের দিনক্ষণ ধার্য হয়। সব মা-বাবারই শখ থাকে ধুমধাম করে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার। কিন্তু আমার সেই সাধ্য কোথায়। তাই অনুষ্ঠান তো দূরের কথা, মেয়ের বিয়ে দেওয়া নিয়েই চরম হতাশায় দিন কাটছিল। এমন সময় ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শিল্পপতি ও সমাজসেবক মিজানুর রহমান মজুমদার ও ছাগলনাইয়া পৌরসভার মেয়র এম মোস্তফার সহযোগিতায় আনন্দঘন পরিবেশে ধুমধাম করেই মেয়ের বিয়ে দিতে পেরেছি। দরিদ্র মায়ের স্বপ্ন আজ সত্যি হয়েছে। সত্যিই যার কেউ নেই, তার আল্লাহ আছেন।’
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে আনন্দে চোখের পানি মুছতে মুছতে কথাগুলো বলছিলেন ছাগলনাইয়া পৌরসভার দক্ষিণ যশপুর নতুনপাড়ার খোরশেদ আলমের স্ত্রী আলেয়া বেগম।
জানা যায়, শিল্পপতি মিজানুর রহমান মজুমদার ও পৌর মেয়র এম মোস্তফার নিজ অর্থায়নে জমকালো আয়োজনে বৃহস্পতিবার দরিদ্র আলেয়া বেগমের মেয়ে সোনিয়া আক্তারের বিয়ে দিয়েছেন। আলোকসজ্জা, তোরণ, কনে ও বরের মঞ্চ, কনে সাজানোর জন্য বিউটিশিয়ান, ভিডিও ধারণ-কোনো কিছুরই কমতি ছিল না অনুষ্ঠানে। বরযাত্রীসহ আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন প্রায় ৩০০ জন। শিল্পপতি মিজানুর রহমান মজুমদার ও পৌর মেয়র এম মোস্তফা দুপুরে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজ সন্তানের আদরেই তাকে স্বামীর হাতে তুলে দেন।বৃহস্পতিবার দুপুরে কনের জীর্ণশীর্ণ বাড়িটি সাজে বর্ণিলভাবে। আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য নানা পদের রান্নার আয়োজন করা হয় । দুপুরে বর ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে জামাল হোসেনসহ শতাধিক বরযাত্রী আসেন।
কনে সোনিয়া আক্তার বলেন, এত সুন্দরভাবে আমার বিয়ে হবে, এটা কখনো কল্পনাও ছিল না। দয়ালু ও মানবিক মানুষ মিজান সাহেব ও মোস্তফা সাহেব আমার বাবা মায়ের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন।
আবেগাপ্লুত হয়ে আলেয়া বেগম বলেন, কখনো ভাবিনি মেয়ের বিয়ের এত বড় আয়োজন হবে। মিজান সাহেব ও মোস্তফা সাহেব যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এসেছেন, তা জীবনে কোনোদিনও ভুলতে পারব না।
শিল্পপতি মিজানুর রহমান মজুমদার বলেন, সমাজের বিত্তবানরা গরিবদের পাশে দাঁড়ালে হাজারো মানুষ ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারবে।
বিএনএনিউজ/এবিএম নিজাম উদ্দিন/ এইচ.এম/এইচমুন্নী