30 C
আবহাওয়া
৪:১০ পূর্বাহ্ণ - মে ২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রাম নগরীতে হেলে পড়া ভবন অপসারণ শুরু

চট্টগ্রাম নগরীতে হেলে পড়া ভবন অপসারণ শুরু

চট্টগ্রাম নগরীতে হেলে পড়া ভবন অপসারণ শুরু

বিএনএ চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর মাঝিরঘাট এলাকার ফকির পাড়ায় হেলে পড়া ভবনগুলোর মধ্যে একটির অপসারণ শুরু করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর)  দুপুরে হেলে পড়া ভবনের অপসারণ কাজ শুরু করা হয়।

ভবন ভাঙা শুরু হলে ক্ষুব্ধ হয় এর মালিক এবং স্থানীয়রা। ক্ষতিপূরণের দাবিতে স্ট্র্যান্ড রোডে জনতা ব্যাংকের সামনে সড়ক অবরোধ করে তারা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ঘটনাস্থলে থাকা সদরঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রনি তালুকদার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, হেলে পড়া ভবনটির কিছু অংশ অপসারণের কাজ শুরুর পর লোকজন রাস্তায় নেমে এসেছিল। ভবন থেকে যাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে তারাও এসেছিলেন। তাদেরকে বোঝানোর পর বিকেল ৩টার দিকে তারা চলে যায়। সে সময় ওই এলাকায় ব্যাপক যানজট দেখা দেয় বলে জানান তিনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভবনটির পাশের খাল খননের কাজ করছিল সিডিএ। তবে কোন নিরাপত্তা দেয়াল তোলা ছাড়াই মাটি অপসারণের কাজ শুরু করে তারা। ফলে নিচের মাটি সরে গিয়ে ভবনগুলো কাত হয়ে গেছে।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে ফকিরপাড়া এলাকায় গুলজার খাল সংলগ্ন একটি ভবন ও মন্দির হেলে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের টিম। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভবনের পাশাপাশি একটি মন্দির ও  কয়েকটি সেমিপাকা রান্নাঘরের মাটি ফেটে যাওয়ায় এগুলো ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে। আশঙ্কার মুখে ভবনের ভাড়াটিয়ারা বাসা ত্যাগ করছেন। সেখানে ২০টি পরিবার বসবাস করছিল।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ভবনগুলো পরিদর্শনে যান সিডিএর কর্মকর্তারা। সে সময় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারাও ছিলেন।

পরে সিডিএ’র  অথোরাইজড অফিসার মো. হাসান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এখানে দুইটি ভবন ও একটি মন্দির হেলে পড়েছে। ভবন দুইটি সিডিএ’র অনুমোদিত নয়। খালের যে এলাইনমেন্ট আছে সেখান থেকে কমপক্ষে ১৫ ফুট দূরে বাড়ি করার কথা। কিন্তু তা মেনে ভবন দুইটি করা হয়নি। তিনতলা ভবনটির ফাউন্ডেশন মজবুত ছিল না। যে কারণে এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এমনকি ভবনটি পুরোপুরি নিজেদের ডিজাইন মেনেও করা হয়নি। খালের কাজ করার সময় সামান্য কম্পনেই এটি হেলে পেড়েছে।

ভবন মালিকদের পুনর্বাসন বা ক্ষতিপূরনের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি তো তাদের নিজস্ব জায়গা। সিডিএ তো খালের জায়গায় খনন করে যাবে। যার বাড়ি তারই থাকবে। সুতরাং কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না।

ভবনের মালিকরা দাবি করেছেন, সিডিএ’র অনুমতি নিয়েই নিজস্ব জায়গায় ভবন তৈরি করেছেন তারা। তাদের দাবি, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় খাল খননের কাজে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় ভবন দুইটি হেলে পড়েছে।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ