বিএনএ লালমনিরহাট: ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে লালমনিরহাটের দুইদিন ধরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উজানে পানির চাপ সামলাতে তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তবে, বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৬টায় পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ব্যারেজের (ডালিয়া) কন্ট্রোল রুম ইনচাজ নুরুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে কিছুটা কমে গিয়ে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেয়ায় লালমনিরহাট, নীলফামারি ও কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলসহ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানির চাপে ব্যারাজের পাশে ফ্লাড বাইপাস সড়কটি ভেঙ্গে গেছে। লালমনিরহাট-নীলফামারী সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে দুই জেলা বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল ও ফসলি জমি। নদী তীরবর্তী শতাধিক চরের অন্তত প্রায় এক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। আকর্ষিক এ বন্যার কারণে পানিবন্দী সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
অন্যদিকে, তিস্তার প্রবল স্রোতে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা-রংপুর সংযোগ সড়কের পাকা রাস্তা ধসে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে ২ জেলার সঙ্গে যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে দুপাশে আটকা পড়েছে মানুষসহ অসংখ্য যানবাহন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানিয়েছেন, বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ৭০ মে.টন জিআরের চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি