বিএনএ ডেস্ক: দুই দশক পার হলেও শেষ হয়নি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারকাজ। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন ২৪ জন, আহত তিন শতাধিক। এই হামলার জন্য আওয়ামী লীগ, তৎকালীন বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারকে দায়ী করলেও বারবারই তা অস্বীকার করে দলটি।
সেদিন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে শেখ হাসিনার বক্তব্যের সময়ই চালানো হয় গ্রেনেড হামলা। হামলার পেছনে বিএনপি-জামায়াত দায়ী দাবি করে তদন্তে জজ মিয়া নাটকের অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ। প্রশ্ন তোলে তৎকালীন সরকারের আন্তরিকতা নিয়েও। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে সে সময় সরকারে থাকা দলটি। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তা পুনঃতদন্ত শুরু হয়। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়ে নতুন করে তদন্ত চালায়।
২০০৮ সালের নভেম্বরে হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের জবানবন্দির ভিত্তিতে পুরো মামলা ভিন্ন রূপ নেয়। তদন্তের দায়িত্ব পান ২০০১ সালে বরখাস্ত পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক আব্দুল কাহার আখন্দ।
আব্দুল কাহার আখন্দের তদন্তের ভিত্তিতেই ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর মামলার রায় দেয় নিম্ন আদালত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বর্তমানে মামলাটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।
২১ আগস্টের গ্রেনেড মামলার পুনঃতদন্ত করা আব্দুল কাহার আখন্দ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ