বিএনএ, ডেস্ক: রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে তা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে আজ ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বড় আকারের ভোট শেষ হচ্ছে।
দুই সিটির সবগুলো কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। ভোটারদের সুবিধার জন্য ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে সাধারণ ছুটিও।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ২৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১১ জন ও ১০টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একটি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর জয়ী হয়েছেন।
রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাসিকের এই সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন প্রার্থী। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন, জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার ও ইসলামী আন্দোলনের মুরশিদ আলম। যদিও গত ১২ জুন রাজশাহীতে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ইসলামী আন্দোলনের মুরশিদ আলম ফারুকী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
সিলেট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নগরের ৪২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এখানে মেয়র পদে ৮ জন এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর পদে ৩৬০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৩৬৪টি। এর মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সিলেট সিটিতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন, মো. শাহ্ জামান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা। আর বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিন দলের মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সিলেটের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
বিএনএনিউজ/বিএম/এইচ এইচ