39 C
আবহাওয়া
৪:৩৯ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণ; টিকটক রিদয়সহ ৯ বাংলাদেশির কারাদণ্ড

বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণ; টিকটক রিদয়সহ ৯ বাংলাদেশির কারাদণ্ড

বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণ; টিকটক রিদয়সহ ৯ বাংলাদেশির জেল

বিএনএ ডেস্ক: ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৯ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে সেখানকার একটি আদালত। ধর্ষকদের পাঁচ বছর থেকে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২০ মে) বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত-৫৪ অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, এই মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশিরা হলেন, চাঁদ মিয়া, মোহাম্মদ রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মোহাম্মদ আলামিন হোসেন, রকিবুল ইসলাম, মোহাম্মদ বাবু শেখ, মোহাম্মদ ডালিম এবং আজিম হোসেন।

মামলায় তানিয়া খান নামের এক নারীকে ২০ বছর ও মোহাম্মদ জামালকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অন্য দু’জনকে ফরেনার্স অ্যাক্টের আওতায় দোষী সাব্যস্ত করে ৯ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া মামলায় একজন অভিযুক্ত ছিলেন ভারতীয়, তাকে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

ভুক্তভোগীসহ অভিযুক্তরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক, যারা ভারতে প্রবেশ করে বেঙ্গালুরুতে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছিলেন। অপরাধ সংঘটনের ২৮ দিনের মধ্যে চাঞ্চল্যকর এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল এবং ৩ মাসে বিচার শেষ করা হয়।

বাংলাদেশি তরুণীকে নির্যাতন মামলার আসামি
বাংলাদেশি তরুণীকে নির্যাতন মামলার আসামি

গত বছরের ২১ মে বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি এক তরুণীকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। নির্মম সেই নির্যাতনের ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। ভিডিওতে এক তরুণীকে বিবস্ত্র করে বেশ কয়েকজন শারীরিক ও বিকৃত যৌন নির্যাতন করার দৃশ্য দেখা যায়।

এ ঘটনায় বাংলাদেশেও তদন্ত শুরু করে পুলিশ। নির্যাতনের সাথে জড়িত বাংলাদেশি যুবক রিফাতুল ইসলাম হৃদয় সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। রিদয় রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাসিন্দা। হৃদয়ের পরিচয় তার মা ও মামার কাছ থেকে শনাক্ত করে পুলিশ। এলাকায় সে টিকটক হৃদয় নামে পরিচিত। পরে নির্যাতনের শিকার তরুণীর বাবা ঢাকার হাতিরঝিল থানায় মানব পাচার ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন।

পরে বেঙ্গালুরু পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। অভিযানের সময় গুলিবিদ্ধ হন তিন আসামি। বেঙ্গালুরু পুলিশ তখন জানায়, নির্যাতনের শিকার তরুণী বাংলাদেশের একটি মানবপাচার চক্রের মাধ্যমে ভারতে পাচার হন। ওই তরুণীকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে পাচারকারীরা। টাকা নিয়ে বিবাদের কারণে ওই তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করার বিষয়টি তদন্তে উঠে আসে।

চক্রটি বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা এবং কর্ণাটকে নারী ও তরুণীদের পাচার করতো।

বিএনএ/ এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ