28 C
আবহাওয়া
২:৪৬ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২১, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » অন্ধত্ব রুখতে পারেনি অদম্য আরশাদ আলীকে

অন্ধত্ব রুখতে পারেনি অদম্য আরশাদ আলীকে


বিএনএ , ঝিনাইদহ: আরশাদ আলীর দুই চোখই অন্ধ। ছোট বেলায় গুটি বসন্তে চোখের আলো হারান তিনি। সেই ৬ বছর বয়স থেকে থামাতে পারেনি তার জীবন যুদ্ধ। অন্ধত্ব রুখতে পারেনি আরশাদ আলীকে। জীবনযাপনে সাময়িক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও দৃষ্টিহীনতা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। আর ১০ জন মানুষের মতোই নিত্যদিন স্বাভাবিক কাজকর্ম করেন অদম্য আরশাদ আলী। গবাদি পশুর জন্য ঘাস কাটা, পরিবারের জন্য বাজার সদাই কেনাকাটা, সংসারের খুঁটিনাটি কাজকর্ম ও ব্যক্তিগত কাজ স্বাভাবিকভাবেই করে যাচ্ছেন তিনি। দুই চোখে দেখতে না পারলেও অন্তরের আলো দিয়েই তিনি পথ চলেন প্রতিনিয়ত।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানি ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আরশাদ আলীর ছেলে। বৈবাহিক জীবনে আরশাদ আলী এক ছেলে ও এক মেয়ের পিতা।

আরশাদ আলী জানান, ১৯৭২ সালে তার বয়স যখন ছয় বছর তখন পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে গুটি বসন্ত। মহামারী রোগে গ্রামের অন্তত ১৮-২০ জন মারা যান। ওই বছরই গুটি বসন্তে আক্রান্ত হন তিনিও। সঠিক চিকিৎসার অভাবে গুটি বসন্তের প্রভাবে তার দুই চোখ অন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই অন্ধত্ব নিয়ে তার পথ চলা।

মা আইজান নেছা জানান, ছোটবেলায় চোখ হারানোর পরে আরশাদ আলী অনেক কষ্টে বড় হয়েছে। প্রতিনিয়ত তিনি চোট পেতেন, হয়েছে দুর্ঘটনার শিকার। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এক বিস্ময়কর মানুষ হিসেবে গড়ে উঠে তার সন্তান। এখন নিজের ও সংসারের সকল কাজ নিজ হাতে করেন।

হলিধানী ইউনিয়নের মেম্বর সাদ আহম্মেদ জানান, প্রতিদিন সকালে গবাদি পশুর ঘাস নিজ হাতে কাটেন আরশাদ। ঘাস সংগ্রহ করতে তিনি চলে যান বাড়ি থেকে অনেক দুরের মাঠে। আবার কাজ শেষে একাই ফিরে আসেন। কাজ করতে গিয়ে তিনি কারো সহযোগিতা নেন না। সম্পূর্ণ অনুমানের উপরে নির্ভর করে তিনি পথ চলেন।

রামনগর গ্রামের সমাজকর্মী জহির রায়হান বলেন, তিনি পেশায় রংমিস্ত্রি। আরশাদ আলীর বাড়িতে কাজ করতে এসে তিনি তাকে দেখে  মুগ্ধ হন। একজন মানুষ দুই চোখ হারিয়েও কিভাবে নিজের কাজ নিজে করতে পারেন, এটা দেখে তিনি অবাক হয়েছেন।

বিএনএ/ আতিকুর রহমান

Loading


শিরোনাম বিএনএ