বিশ্ব ডেস্ক: ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে ব্যাপক বিমান ও মর্টার হামলা চালিয়ে মাত্র একদিনে গাজায় প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি তে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল। আরও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার(২০ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে। যুদ্ধ শুরু হবার পর হতে এ নিয়ে গাজায় ১৯হাজার৬৬৭জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে যুদ্ধ বিরতির একটি খসড়া প্রস্তাবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) ভোটগ্রহণ পিছিয়েছে এবং এখন বুধবার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রস্তাবের কয়েকটি শব্দ নিয়ে ইসরায়েলের সমর্থকদের আপত্তির কারণে ভোট গ্রহণ পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে তর্ক অব্যাহত রয়েছে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সাথে।
মালয়েশিয়ায় নিষিদ্ধ ইসরায়েলি জাহাজ
মালয়েশিয়া ইসরায়েলী পতাকাবাহী জাহাজকে সে দেশে আর ঢুকতে না দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে সাথে “মালয়েশিয়ার বন্দরগুলো হতে মালামাল লোড করে ইসরায়েলগামী যে কোনও জাহাজের ওপরও এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে।”
প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের কার্যালয় মঙ্গলবার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেছে, জিআইএম শিপিং কোম্পানির ওপর অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিক্রিয়া হিসাবে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হল। বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ওপর ‘গণহত্যা ও বর্বরতা’ চালাচ্ছে।
‘নিরাপদ পানি ছাড়া’ আরও অনেক শিশু মারা যাবে: ইউনিসেফ
জাতিসংঘের শিশু সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেছেন, দক্ষিণ গাজার বাস্তুচ্যুত শিশুদের বেঁচে থাকার মৌলিক চাহিদার তুলনায় সেখানে অনেক কম পানি রয়েছে।
রাসেল বলেন, “নিরাপদ পানি না থাকলে আগামী দিনে আরও অনেক শিশু বঞ্চনা ও রোগে মারা যাবে।
“শিশু এবং তাদের পরিবারগুলিকে অত্যন্ত লবণাক্ত বা দূষিত অনিরাপদ উৎস থেকে পানি ব্যবহার করছে।”
রাফাতে, যেখানে কয়েক হাজার মানুষ – যাদের অর্ধেক শিশু বলে অনুমান করা হয়েছে – ডিসেম্বরের শুরু থেকে পালিয়ে গেছে, পানি এবং স্যানিটেশন পরিস্থিতি “অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে”, রাসেল যোগ করেন।
তিনি বলেন, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়ার মাসিক গড়ের তুলনায় পানির ঘাটতি ইতিমধ্যে ২০ গুণ বেড়েছে।
১৯ লাখ ফিলিস্তিনি এখন গৃহহীন ও বাস্তুচ্যুত
গাজার ২২ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ১৯ লাখ মানুষই এখন গৃহহীন ও বাস্তুচ্যুত হয়েছে। উত্তর ও মধ্য গাজা এলাকায় ব্যাপক বোমা বর্ষন করে হাজার হাজার বাসাবাড়ি, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মন্দির, হাসপাতাল ধ্বংস হওয়ায় যারা বেঁচে আছে তারা প্রাণভয়ে দক্ষিণ গাজার রাফাহ অঞ্চলে পালিয়েছে।সেখানেও ফিলিস্তিনিদের ওপর চলছে অবিরাম হামলা।
পশ্চিমতীরে ২৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত
আরব নিউজ মঙ্গলবার জানায়, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধের সময়, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ অধিকৃত পশ্চিম তীরে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে যেটিকে ফিলিস্তিনি জনগণ “সম্মিলিত শাস্তি” হিসাবে মন্তব্য করেছে।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে ৭ অক্টোবর থেকে এই ধরনের অভিযানে ৭০ শিশু সহ কমপক্ষে ২৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং স্থানীয় বন্দি অধিকার গোষ্ঠীগুলির মতে ৪ হাজার ৫২০ জনেরও বেশিকে আটক করা হয়েছে। ইসরায়েলী সৈন্য ও অবৈধ বসবাসকারী দখলদার ইহুদীদের হামলা,গুলিতে পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনিরা মারা যাচ্ছে।
বিএনএ,এসজিএন