বিএনএ ডেস্ক: শীতের সবজির সমারোহের মধ্যে যেখানে কমার কথা, সেখানে হঠাৎ আবার চড়া হয়ে উঠেছে এর দাম। গত দুই দিনে কয়েকটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। কোনোটির দাম বেড়ে হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এর জন্য কম সরবরাহকে কারণ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন সবজি বিক্রেতারা।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকার হাতিরপুল, কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর বাজারে দেখা গেছে, শীতের অন্যতম সবজি শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। তিন দিন আগেও শিমের কেজি ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। মাসখানেক ধরে গোল বেগুনের কেজি ৬০ টাকার আশপাশের দরে বিক্রি হচ্ছিল। কিন্তু এখন বেগুন কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে গতকাল বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। বছরের এ সময়ে টমেটোর দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে থাকে। কিন্তু এখন টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
দাম কমে সপ্তাহখানেক আগে আকারভেদে ফুল ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকায়। কিন্তু সপ্তাহ ব্যবধানে দ্বিগুণের মতো দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। বরবটির কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা বা এর চেয়েও বেশি দরে। এ ছাড়া পটোল, ধুন্দল, শসাসহ অন্যান্য সবজিও কেজিতে ১০ টাকার মতো দাম বেড়েছে। কিছুটা কম দরে মিলছে মুলা। সবজিটি কেনা যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে।
বসুন্ধরা বাজারের বিক্রেতা মোহসিন আলম বলেন, গত সপ্তাহের বৃষ্টিতে সবজি নষ্ট হয়েছে। তা ছাড়া অবরোধের কারণে সবজি কম আসছে। এ জন্য দামটা একটু বেশি।
এ বছর আলুর দর লাফিয়ে বাড়তে থাকায় দাম বেঁধে দেওয়ার পর আমদানির উদ্যোগ নেয় সরকার। আমদানির পাশাপাশি বাজারে এখন নতুন আলুর সরবরাহও অনেক বেড়েছে। এরপরও লাগাম টানা যায়নি। বড় বাজারগুলোতে নতুন আলু ৬০ ও পুরোনো আলুর কেজি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে এলাকাভিত্তিক ছোট বাজার ও মহল্লার দোকান থেকে কিনতে গেলে নতুন-পুরোনো উভয় আলুর জন্য কেজিতে ৭০ টাকা গুনতে হচ্ছে। অথচ সপ্তাহখানেক আগে দুই ধরনের আলুর দর ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকার মধ্যে।
নতুন বাজারের পাইকারি আলু বিক্রেতা বিদ্যুৎ আলম বলেন, ‘দাম বেশি থাকায় কৃষকরা অনেক ছোট আলু ক্ষেত থেকে তুলে বিক্রি করে দিয়েছেন। ক্ষেত থেকে ১৫ দিন আগে তোলা এক কেজি আলু এখন তুললে তা ওজনে হতো দুই থেকে তিন কেজি। অন্যদিকে আমদানিও কমেছে। এ কারণে বাজারে আলুর দাম বাড়তি।’
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ