বিএনএ, ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ প্রেক্ষিতে দেশের ১৩ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসন বিন্যাসের কাজ শুরু হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ডিপিই থেকে জানা গেছে, চলমান এইচএসসি পরীক্ষা আগামী ৩০ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার পর জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করা হবে। বর্তমানে প্রশ্নপত্র তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। চারটি ধাপে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। সারদেশের প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্র নির্বাচন করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে আসনবিন্যাস কাজ শুরু করা হয়েছে।
পরীক্ষা শুরুর পাঁচদিন আগে সেই জেলার প্রার্থী পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাবেন। মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে তাকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে লিংক পাঠানো হবে। সম্প্রতি নিয়োগ কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার পর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করতে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবং ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) তৈরির কাজ শেষপর্যায়ে। পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করে প্রার্থীদের মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেয়া হবে ৩২ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষক। যার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে নিয়োগ পাবেন ২৫ হাজার ৬৩০ জন। বাকিগুলো শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে, গত দুই বছর শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত থাকায় শূন্যপদের সংখ্যা বেড়েছে। এজন্য বাড়ানো হবে শিক্ষক নিয়োগের সংখ্যা। এ জন্য সারাদেশে মোট ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।
বিএনএ/এমএফ