23 C
আবহাওয়া
১১:১৬ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারে উপকৃত হবে

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারে উপকৃত হবে

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারে উপকৃত হবে

বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ১০ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, রাষ্ট্রদূত ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের প্রয়োজন। এছাড়া সাগর ও অভ্যন্তরীণ নৌ-পথে মালামাল পরিবহন, রেলপথে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, স্থল বন্দরসমূহে জটিলতাসমূহ সহজীকরণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে পণ্য খালাসের গতি ত্বরান্বিত করা, ইলেক্ট্রনিক ডাটা বিনিময়ের মাধ্যমে স্থলবন্দরসমূহকে আরও বেশি ডিজিটালাইজ করতে হবে।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পরিচালকমন্ডলী, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের সাথে  মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রাপ্তিতে সহায়তাকরণ, ভারত-বাংলাদেশ বার্ষিক বিজনেস কনফারেন্স আয়োজন, বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে যৌথভাবে ল্যাবরেটরী বা টেস্টিং সেন্টার স্থাপনের প্রস্তাব করেন চেম্বার সভাপতি। ধর্মীয় পর্যটনের মাধ্যমে উভয় দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে মনে করেন চেম্বার সভাপতি।

বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ বৃহত্তর অর্থনীতি হিসেবে উদিত হচ্ছে। এ অঞ্চল ২৫০ কোটি মানুষের বাজার, চট্টগ্রাম যেখানে প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাণিজ্য, সামুদ্রিক ও উৎপাদন খাত চট্টগ্রামে অগ্রগণ্য। প্রতিবেশীদের সাথে দৃঢ় সম্পর্কের উপর আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উন্নয়ন নির্ভরশীল। তাই সেবা, উৎপাদন ইত্যাদি খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বন্ধুত্বকে টেকসই করতে হবে।

বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, দীর্ঘমেয়দীর পাশাপাশি দুই থেকে তিন বছর মেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের উপর গুরুত্বারোপ করা দরকার। বিশেষ করে লজিস্টিকস, বন্দর, অবকাঠামো, যোগাযোগ ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কাজ করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহ এমনকি ভুটান, নেপালসহ উপকৃত হতে পারে যেখানে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই লাভবান হতে পারে।

তিনি ব্যবসায়ী নির্বাহীদের প্রশিক্ষন প্রদান, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি খাতে মূল্য সংযোজনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান। এছাড়া কনস্ট্রাকশন ইকুইপমেন্ট, মেডিকেল ইকুইপমেন্ট, ফার্মাসিউটিক্যালস ও এপিআই পার্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগ কার্যকর হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনা, বে-টার্মিনালে অর্থায়নসহ অবকাঠামো উন্নয়নে ভারতের আগ্রহ রয়েছে। সীমান্তে আইসিডি, ওয়্যারহাউস নির্মাণ, রেললাইন উন্নয়ন ও স্থলবন্দরের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

চট্টগ্রাম চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমেরর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন চেম্বারের পরিচালকগণ, উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা ও ডা. মুনাল মাহবুব, বেইস টেক্সটাইল লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার শাহাদাত (শোভন), গ্রীণ গ্রেইন গ্রুপের এমডি শাকিল আহমেদ তানভীর, ক্যাপিটাল পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের এমডি রাশিখ মাহমুদ ও মার্কস বাংলাদেশ লিমিটেডের তানিম শাহরিয়ার।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার শ্রী অনিন্দ্য ব্যানার্জী, রাষ্ট্রদূতের পত্নী সংগীতা দোরাইস্বামী ও দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারী দীপ্তি আলংঘট উপস্থিত ছিলেন।

বিএনএনিউজ/মনির

Loading


শিরোনাম বিএনএ