বিএনএ, নেত্রকোণা : দরজায় কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। আর এই উৎসবকে ঘিরে নেত্রকোণার দশ উপজেলায় জেলার ৫২৬ মন্ডপে প্রতিমা তৈরী, প্যান্ডেল ও গেইট নির্মাণের কাজ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ হতে গ্রহণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি।
নেত্রকোণা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জ্ঞ্যানেশ চন্দ্র সরকার ও সাধারণ সম্পাদক লিটন পন্ডিত জানান, চলতি বছর জেলার দশ উপজেলায় ব্যাক্তিগত, স্থায়ী মন্দির ও অস্থায়ী মন্ডপে ৫২৬ টি দূর্গা পুজার আয়োজন করা হচ্ছে। তম্মদ্ধে, নেত্রকোনা পৌরসভায় ৫৬টি, সদর উপজেলায় ৫৮টি, দূর্গাপুরে ৬১টি, মোহনগঞ্জে ৪৩টি, বারহাট্রায় ৫২টি, আটপাড়ায় ৩৯টি, মদনে ১৪টি, খালিয়াজুরীতে ৪২টি, কেন্দুয়ায় ৪৮টি, পূর্বধলায় ৫৮টি ও কলমাকান্দা উপজেলায় ৫৫টি পূজা মন্ডপ রয়েছে।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, নিরাপদে ও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গা পূজা উদযাপনের জন্য পুলিশের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
পুলিশ সুপার মো: ফয়েজ আহমেদ বলেন, নিজ নিজ ধর্ম সুষ্ঠুভাবে পালনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা সর্তক রয়েছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে এবং নিরাপত্তায় প্রতিটি মন্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করার জন্য জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দদেরকে বলা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোষাকে পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।
তিনি আরো জানান, সব ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ আগে থেকেই মাঠে কাজ করছে। দূর্গাপূজাকে নির্বিঘ্ন করার জন্য সম্প্রতি পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইসলামী ফাউন্ডেশানের কর্মকর্তা, মসজিদের ইমাম ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষজন উপস্থিত ছিলেন। সভায় পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দকে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন কমিটির মাধ্যমে জরুরী মুহুর্তের জন্য জেনারেটর রাখা, স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন, নারী-পুরুষ আলাদা লাইনে প্রবেশ ও বাহিরের ব্যবস্থা করা, ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে আযান ও নামাযের সময় বাজনা বন্ধ রাখা, প্রতিটি মন্ডপে আগুন নিয়ন্ত্রক সিলিন্ডার রাখাসহ বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম খান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন উপলক্ষে পৌর শহরে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে আমাদের সেচ্ছাসেবক বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়াও পূজা আয়োজনে পৌরসভার পক্ষ হতে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।
আগামী ২ অক্টোবর ষষ্ঠিপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসরের মুল আনুষ্ঠনিকতা । ৫ই অক্টোবর বিদায় নিবেন দেবী দুর্গা।
বিএনএ/ ফেরদৌস আহমাদ বাবুল, ওজি