বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে ভিড় বাড়ছে। ভিড় সামলাতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে শনি ও রোববার (১৭-১৮ এপ্রিল) রীতিমতো ডাকা হয়েছিল পুলিশ।
চসিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু রোববারই নয়। এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে। ভ্যাকসিন দিতে এসে হাতাহাতি-মারামারিতে জড়িয়ে পড়ছেন অনেকেই। বিশৃঙ্খলা এড়াতে শনি ও রোববার পরপর দুই দফা পুলিশ ডাকতে বাধ্য হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ভ্যাকসিন কার্যক্রমে নিয়োজিত কর্মকর্তারা বলছেন, ভ্যাকসিন শেষ এমন উড়ো খবরে ভিড় বাড়ছে। সাথে আগেভাগে ভ্যাকসিন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে অনেকেই। তাছাড়া ম্যাসেজ না পেয়েও অনেকে ভ্যাকসিন সেন্টারে এসে ভ্যাকসিন দিতে অনুরোধ করছেন। এতে ভ্যাকসিন না পেয়ে অনেকেই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন।
সিএমপির কোতোয়ালী জোনের এসি নোবেল চাকমা বলেন, ভ্যাকসিন নিতে মানুষের ভিড় হলে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে পুলিশ যাওয়ার পর তাদের লাইন ধরিয়ে দিলে আর সমস্যা হয়নি। এটা তেমন বড় কোনো ঘটনা না।
চসিক করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কমিটির সদস্য সচিব ও চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, ভ্যাকসিনের জন্য এসে অধৈর্য্য হয়ে মানুষ মারমুখী আচরণ করছে। এজন্য গতকাল ও গত পরশু চসিকের জেনারেল হাসপাতালে পুলিশ পাঠাতে হয়েছে।
তিনি বলেন, অনুরোধ করবো ভ্যাকসিন নিতে এলে সবাই যেন ধৈর্য্যশীল আচরণ করে। যেন মাস্ক পরে এবং একজন-অন্যজনকে সহায়তা করেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় দফায় গত ৯ এপ্রিল চট্টগ্রামে এসেছে ৩ লাখ ৬ হাজার ডোজের ৩০ হাজার ৬০০ ভায়াল কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন। প্রতি ভায়াল ভ্যাকসিন ১০জনকে প্রয়োগ করা হবে। এসব ভ্যাকসিন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরে ওয়াক-ইন-কুলারে (ডব্লিউআইসি) ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়।
বিএনএনিউজ/মনির