বিএনএ, ঢাকা: পদত্যাগ করেছেন সরকারের টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা।
রোববার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।
বর্তমানে সরকারের মন্ত্রীপরিষদে তিনজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী রয়েছেন। তারা হলেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।
মন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন- অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, টেকনোক্র্যাট কোটায় যারা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন, তারা আজকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের মধ্যে যারা সংসদ সদস্য নন, তারাও পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, নিয়ম অনুযায়ী- পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে যাবে। তিনি সেটি গ্রহণ করলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এদিকে সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সভায় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও উপদেষ্টারা নির্বাচনকালীন সরকারে থাকবে না।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের এ তারিখ জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, তার আগে ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হবে। সেই হিসাবে গত ১ নভেম্বর নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা আছে।
বিএনএ/এমএফ