সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপে(৬ষ্ঠ)পর্বে ফাইনাল খেলায় নতুন ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
সোমবার(১৯ সেপ্টেম্বর) নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের হারিয়ে প্রথমবার শিরোপা জয় করে বাংলাদেশ। এবার দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতে নিয়েছে সাবিনা-সানজিদা ও মারিয়ারা।
বাংলাদেশ দলের হয়ে জোড়া গোল করেন কৃষ্ণা রানি সরকার। একটি গোল করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। নেপালের হয়ে একটি গোল শোধ করেন অনিতা বাসনেত।
ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা দুয়েক আগে ভারি বৃষ্টিতে মাঠ হয়ে যায় কর্দমাক্ত। ফলে দুই দলেরই সমস্যা হয় বলের নিয়ন্ত্রণ রাখতে। তারপরও শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যায় বাংলাদেশ দলের সদস্যরা।
কিছুটা চোট পাওয়ায় নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামার পর স্বপ্নার মধ্যে ফিটনেস সমস্যা দেখা যাচ্ছিল। যার কারণে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন তাকে তুলে নেন। তার পরিবর্তে খেলতে নামেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। তিনি ম্যাচের ১৪ মিনিটে মণিকা চাকমার বাম কর্নার থেকে পাঠানো উঁচু শট পায়ের আলতো ছোঁয়ায় নেপালের গোলবারে পাঠিয়ে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে।
খেলার ৪১তম মিনিটের মাথায় অধিনায়ক সাবিনার কাছ থেকে বল পেয়ে কৃষ্ণা দ্বিতীয় গোল করে দলকে ২-০গোলে এগিয়ে দেন। এই ফরোয়ার্ড বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে বল প্রবেশ করান।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে স্বাগতিক নেপাল দল খুব চাপে ফেলে বাংলাদেশ দলকে। সেই চাপের ধারাবাহিকতায় খেলার ৭০ মিনিটে নেপালের আনিতা বেসন্ত দলের পক্ষে একটি গোল পরিশোধ করার সুযোগ পান।
খেলার শেষ দিকে ৭৭ মিনিটে বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রাণী সরকার মিডফিল্ড থেকে পাওয়া থ্রুতে আগুয়ান প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে দারুণভাবে পরাস্ত করেন। ফলে ৩-১ গোলে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়।খেলার শেষ মিনিট পর্যন্ত নেপাল দলের সদস্যরা গোল পরিশোধে একের পর এক আক্রমণ চালায়। কিন্ত বাংলাদেশের মেয়েরা তাদের বার বার ফিরিয়ে দেয়।
বাংলাদেশের একাদশ: রুপা চাকমা (গোলরক্ষক) সাবিনা খাতুন (অধিনায়ক) শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার, আঁখি খাতুন, সাসুরা পারভিন, মণিকা চাকমা, সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্ডা, কৃষ্ণা রাণী সরকার ও শামসুন্নাহার জুনিয়র।
বিএনএনিউজ২৪,জিএন