বিএনএ, চবি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বর্ধিত করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ডাক দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রলীগের একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ করছেন চবি ছাত্রলীগের ছয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে শাটল ও শিক্ষক বাস আটকে এই অবরোধ শুরু করেন তারা। এতে বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা থাকায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, ছয় বছর পর শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর থেকেই কমিটিকে অবৈধ, পকেট কমিটি উল্লেখ করে আন্দোলন করে আসছিল কয়েকটি গ্রুপ। দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ চলবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
এদিকে অবরোধের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে শহরের উদ্দেশে কোনো শিক্ষক বাস ছেড়ে যায়নি। শাটল ট্রেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে। ফলে বিভিন্ন বিভাগের চলমান ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রকিবুল হাসান দিনার বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সিকে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবি-দাওয়া জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু তাদের কোন গরজই নেই। আমাদের কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য করেছে। দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘এটা তাদের সাংগঠনিক দাবি, এর সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক নাই। তাদের সাংগঠনিক বিষয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কেন ক্ষতিগ্রস্ত হবে? আমরা বিভিন্নভাবে এটা মীমাংসার চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, প্রায় ৬ বছর পর গত ৩১ জুলাই চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ১০ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর প্রতি অনাস্থা জানায় ৯৪ জন পদধারী নেতা। পাশাপাশি আগস্টের পর থেকে আন্দোলনের ঘোষণা দেন তারা।
তাদের দাবিগুলো হলো- পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অর্ন্তভুক্তকরণ, কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের যোগ্যতা অনুসারে পদগুলোর পুনঃমূল্যায়ন, কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
বিএনএনিউজ২৪/নবাব/ এমএইচ